ইউরো ফুটবলে শেষ ষোলোতে প্রথম অঘটনের শিকার নেদারল্যান্ড। সাবেক এই চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে ২০১২ সালের পর প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছে চেক প্রজাতন্ত্র।
শেষ ষোলোর ম্যাচে রোববার ফেরেঙ্ক পুসকাস স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে চেক প্রজাতন্ত্র। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট এলে দ্বিতীয়ার্ধে নেদারল্যান্ডের ১০ জনের দলে পরিণত হয়। ম্যাথিস লাল কার্ড দেখার পর নেদারল্যান্ডের শক্তি খর্ব হয়। যার সুবিধা ভালোমতো নিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। আদায় করে নেয় দু’টি গোল।
প্রথমার্ধে দুই দলই ছিল বেশ লড়াকু আমেজে। হয়েছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। কিন্তু এই অর্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। সব উত্তেজনা আরো রোমাঞ্চ জমা ছিল যেন দ্বিতীয়ার্ধে।
৫৫ মিনিটে কপাল পোড়ে নেদারল্যান্ডের। হ্যান্ডবলের দায়ে লাল কার্ড দেখেন ডাচ শিবিরের ডিফেন্ডার ম্যাথিস ডি লিট। ১০ জনের দলে পরিণত হয় নেদারল্যান্ড। এই সুযোগ ভালোমতো কাজে লাগায় চেক প্রজাতন্ত্র।
৬৮ মিনিটে চেকদের লিড এনে দেন টমাস হোলস। ৮০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্যাট্রিক শিক। শেষের দিকে আরো দু’টি গোলের সুযোগ পেয়েছিল চেক রিপাবলিক। কিন্তু পূর্ণতা পায়নি এই আক্রমণ। তারপরও ২-০ গোলের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেক শিবির।
কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ড এর আগে সর্বশেষ খেলেছে ২০০৮ সালে। ২০১২ সালে দলটি বিদায় নেন গ্রুপ পর্ব থেকে। ২০১৬-তে তো কোয়ালিফাই করতে পারেনি ডাচ বাহিনী। এবার সুযোগ ছিল প্রায় এক যুগ পর ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার। তা হতে দিল না চেক প্রজাতন্ত্র। ১৯৭৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের কাছে হেরে গেল ১৯৮০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচে নেদারল্যান্ড ছয়টি শটের মধ্যে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। সেখানে ১২ শটের মধ্যে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে চেক। অথচ বল দখলে নেদারল্যান্ডের ছিল আধিপত্য, শতকরা ৫২ ভাগ। নেদারল্যান্ড কর্নার আদায় করে ছয়টি, চেক পাঁচটি।
আগামী ৩ জুলায় সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চেক প্রজাতন্ত্র। যেখানে তারা মুখোমুখি হবে ডেনমার্কের। কারণ ৪-০ গোলে ওয়েলসকে হারিয়ে শেষ আটে আগেই নাম লিখিয়েছে ড্যানিশরা।