ঢাকাঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বাংলাদেশ ১০ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পাবে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, মন্ত্রণালয় টিকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। সিনোফার্ম ও স্পুটনিক-ভি নিতে পারি কিনা সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ে সেগুলো। ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসার বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যেটা আমরা সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনেছিলাম ৩ কোটি ডোজ। সেখান থেকে আমরা ৭০ লাখ পেয়েছি। ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ আমরা ওখান থেকে আরও পাবো।
আমাদের কাছে তথ্য আছে সেপ্টেম্বর থেকে এই টিকাগুলো পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও কোভ্যাক্স থেকে আমাদের ২০ শতাংশ জনসংখ্যার জন্য টিকা দেয়ার কথা। যা বিনামূল্যে সরকার পাবে।
তিনি বলেন, এই ডিসেম্বরের মধ্যেই ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ আমাদের কেনা টিকা যেটা আমরা সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে পাবো। এ ছাড়াও সিনোফার্ম ও স্পুটনিক থেকে যেভাবে প্ল্যান করা হয়েছে তা যদি সফল হয় সেখানে দেড় অথবা দুই কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। সব মিলিয়ে এবছরের মধ্যেই আমাদের ১০ কোটির মতো টিকা পেতে পারি।
সিনোফার্মের টিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী মাস বা আগামী এক দুই মাসের মধ্যেই টিকা বড় আকারে আসা শুরু হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা অনেক টিকাই পেয়ে যাবো।
দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের বিষয়ে তিনি বলেন, দু’ভাবে টিকা উৎপাদনের বিষয় থাকে। একটা বাল্ক দিলে আমরা এখানে ফিল অ্যান্ড ফিনিশ করে সেটাকে মার্কেটে দিতে পারি। আরেকটি হচ্ছে একদমই সিড থেকে তৈরি করা। সব ধরনের বিষয়গুলোই ভেবে দেখা হচ্ছে, আমরা কীভাবে করতে পারি। আমরা এখন জনসন অ্যান্ড জনসন নিয়েও ভাবছি। এটি যেহেতু এক ডোজ সেক্ষেত্রে আরও বেশি মানুষকে দ্রুত এই টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।