করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঢাকার চারপাশে সাতটি জেলায় বিধিনিষেধ (লকডাউন) ঘোষণা করেছে সরকার। তাই এই সাত জেলার অন্তর্গত কোনো জায়গায় ট্রেন থামবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো: নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের গন্তব্যে যেতে যদি কোনো লকডাউন এলাকা পড়ে সেখানে ট্রেন থামবে না, যাত্রী উঠাবে না, নামাবেও না। লকডাউন এলাকা ক্রস করে ট্রেন গন্তব্যে যাবে।
তিনি বলেন, একইভাবে অন্যান্য এলাকার জন্যও এই বিধি মেনে ট্রেন চালানো হবে। লকডাউন এলাকার রেলস্টেশনসমূহ বন্ধ থাকবে।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তঃনগর ট্রেনের ব্যাপারে এ নিয়ম মেনে ট্রেন চলবে। তবে সব লোকাল ট্রেন ওই সব এলাকায় চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউন এলাকায় কোনো আন্তঃনগর কিংবা লোকাল ট্রেন থামবেও না ছাড়বেও না। লকডাউন এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ২২ জুন (মঙ্গলবার) ভোর ৬টা থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
এ সময়ে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ সাত জেলায় মালবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। এর বাইরে আরো কোনো জেলা যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে জেলা প্রশাসন লকডাউন দিতে পারবে।