গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী। আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তিনি কারামুক্ত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিপুণের খালাতো ভাই কৃষ্ণ। তিনি দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘সব প্রক্রিয়া শেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন নিপুণ রায়।’
এর আগে, গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে করা দুই মামলায় বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী গত বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। ওইদিন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন।
দুই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে জামিন চেয়ে গত ২৭ মে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন নিপুণ রায়। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতালের দিন রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকা থেকে নিপুণ রায়কে আটক করে সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে নিপুণ রায় গাড়িতে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন- সেসময় এমন একটি কল রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়। এরপর নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় মামলা হয়। তবে বিএনপি বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এ ছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার বে-আইনি সমাবেশ, গুরুতর আঘাত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা অপর মামলায় নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই দুই মামলায় তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল।