ভারত থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানি করার জন্য সেদেশের একটি বেসরকারি সংস্থা এবং বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার মধ্যে একটি সমঝোতা-পত্র সই হয়েছে।
এইচ-এনার্জি নামের ভারতের ওই সংস্থাটি বলছে, এর পরের ধাপ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদে পেট্রোবাংলাকে রিগ্যাসিফায়েড এলএনজি সরবরাহের জন্য পূর্ণাঙ্গ চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে।
বাংলাদেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করছেন যে বিষয়টি এখন আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এটি চূড়ান্ত হলে এটাই হবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রথম এলএনজি আমদানির চুক্তি।
ভারতের এইচ-এনার্জি বলছে, বুধবার পেট্রোবাংলার সাথে ওই সমঝোতা পত্রে তারা সই করেছে।
পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমের কাছে এই সমঝোতা সই হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এইচ এনার্জির প্রধান নির্বাহী দর্শন হীরানন্দানি বলছেন, ‘ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার এটা একটা মাইল ফলক। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র সবই যোগাড় হয়েছে এরপর খুব দ্রুত এই প্রকল্প রূপায়নের দিকে এগিয়ে যাব আমরা।’
এই সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানো এবং তা ব্যবহার করার ছাড়পত্র আগেই পেয়েছে ভারতের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ডের থেকে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কানাই চট্টায় তাদের এলএনজি টার্মিনাল থেকে নদীয়ার শ্রীরামপুর অবধি নিজস্ব পাইপলাইন দিয়েই পেট্রোবাংলাকে গ্যাস দেয়া হবে।
এই গ্যাস মূলত বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করবে পেট্রোবাংলা।
এইচ-এনার্জি নামের মুম্বাইভিত্তিক সংস্থাটি এখন মহারাষ্ট্রের জয়গড় বন্দরে ভারতের প্রথম ভাসমান স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশান টার্মিনাল তৈরি করেছে।
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথেও সংস্থাটি একটি সমঝোতা-পত্র সই করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও একটি এলএনজি টার্মিনাল তৈরি করবে। এই টার্মিনাল থেকেই এলএনজি বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি