রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে সূতিয়া নদীর উপর নির্মিত ত্রীমোহনী সেতুর গাইড পোস্টে ছোট বড় কয়েটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সকল ধরণের যানবাহন। যানাযায়, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার মধ্যে সূতিয়া নদীর উপর নির্মিত ত্রিমোহনী সেতু। এই সেতুর গাইড পোস্টের মধ্যে ছোট বড় কয়েকটি গর্ত দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাড়ী বৃষ্টিতে গর্ত গুলো অনেক বড় হয়েছে। এতে করে সেতুর শ্রীপুর পাড়ে প্রবেশ মুখে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সকল ধরণের যানবাহন। যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা সম্ভবনা রয়েছে।
সরজমিন ঘুরে দেখাযায়, সেতুর প্রবেশ মুখে গাইড পোস্টের গর্ত দিন দিন বড় হচ্ছে। পায়ে হেঁটে চলাচলের সময় একটু অসচেতন হলেই পড়তে হতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করছে এই সেতু দিয়ে।
সমস্যাটা দীর্ঘ দিনের হলেও এই সমস্যা সমাধানে তেমন কোন উদ্যোগ নেই কতৃপক্ষের।
নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বাসচালক ইমান আলী জানায়, এই সেতু দিয়ে দু’টি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। দীর্ঘ দিন ধরে ছোট গর্ত থেকে এখন অনেক বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে। এজন্য অনেক ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে প্রবেশ করতে হয়।
সিএনজি চালক মো. জিয়াউল হক বলেন, দু’টি গাড়ি একসাথে আসলে ঝুঁকি নিয়ে ক্রসিং করতে হয়। ক্রসিক করতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলফাজ উদ্দিন বলেন, সেতুর প্রবেশ মুখে গর্ত ছোট থেকে এখন বেশ বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান না করলে বর্ষাকালে চলাচল বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পোশাক শ্রমিক আকলিমা খাতুন জানায়, প্রতিদিন সেতু পার হয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়। অসাবধানতা জন্য বড় দুর্ঘটনা সমুখে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, পাশ্ববর্তী উপজেলা হতে মোটরসাইকেল যোগে সেতু পার হয়ে অফিসে যেতে হয়। সেতুর প্রবেশ মুখে এত বড় গর্তের কথা সব সময় মনে থাকে না। তাই বড় ধরণের দুর্ঘটনার আগে সংস্কার প্রয়োজন।
স্থানীয়রা মনে করেন দ্রুত সময়ের মধ্যে গাইড পোস্টের গর্ত বন্ধ করে, সেতুতে যাত্রী ও পরিবহনের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল থেকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, ত্রিমোহনী সেতুটি ভূমি অধিগ্রহণ ও ৬৫০ মিটার সংযোগ সড়কসহ ২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি ৪২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৩.৬২ ফুট প্রস্থ। ২০১১ সালের ২৫ মে কাজ শুরু হয়ে ২০১৬ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশল মো. সাইফুদ্দীন বলেন, গাইড পোস্টে গর্তের খবর পাওয়ার সাথে সাথে সংস্কারের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গর্ত ভরাট করা হবে বলে জানান তিনি।