বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় শহরের প্রবর্তক মোড়, ওয়াসা মোড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, বাকলিয়া, মুরাদপুর, চকবাজার, কাতালগঞ্জসহ বেশিরভাগ এলাকা প্রায় ডুবে গেছে। নগরীর নিম্নাঞ্চলের অনেক দোকানপাট ও বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ফলে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
নগরীর দুই নং গেইট এলাকায় অফিসগামী মাসুম নামের একজন বলেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় সাথে সাথে পানি জমে যায়। আমি অফিস যাচ্ছিলাম, কিন্তু দুই গেইটে এসে গাড়িতে আটকা আছি প্রায় ৪০ মিনিট। কখন মুক্তি পাবে আল্লাহই ভালো জানে।
গার্মেন্টস কর্মী তবারক বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি থাকায় অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে গন্তব্য পৌঁছাতে হবে আমার।
আলমগীর চৌধুরী নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বারবার প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও আমরা জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাই না। নগরীর অভিভাবক পরিবর্তন হয়, তবে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না।
তাই অনুরোধ, এ জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করুন।
এই বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে চট্টগ্রামে ৩০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি এই বৃষ্টিপাত রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।