বজ্রপাতে সারা দেশে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে জামালপুরের বকশীগঞ্জে ৩ জন, চাঁপাই নবাবগঞ্জে মা-ছেলেসহ ৩, বাগেরহাটের শরণখোলায় ১ জন, নেত্রকোনায় ১ শিশু, সিরাজগঞ্জে ২ জন ও দিনাজপুরের বিরামপুরে ১ জন রয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের বকশীগঞ্জে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে পৃথক স্থানে এক নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মেরুরচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেনÑ পূর্ব কলকিহারা গ্রামের মহিজল হকের ছেলে হরবাদশা (৪৫), একই গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম (৩৫) ও উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৫৫)। স্থানীয়রা জানান, উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের খলিলুর রহমান বৃষ্টির সময় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে যান। গোসল করার সময় বজ্রপাত হলে তিনি সেখানেই মারা যান।
অপরদিকে ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে হরবাদশা (৪৫) ও বাড়ির পাশে খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে আকিজা বেগম (৩৫) মারা যান। এছাড়াও মাদারেরচর গ্রামের বুদু মিয়ার দুটি গরু বজ্রপাতে মারা গেছে।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাই নবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বিকালে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেনÑ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচরশিয়া গ্রামের রানা আলীর স্ত্রী এ্যানি বেগম (২৬), তার ছেলে নূর মোহাম্মদ (৬) ও চরবাগডাঙা ইউনিয়নের বাখর আলী গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে ইয়ামিন আরাফাত (১০)। এরা সবাই ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে মারা যান।
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের শরণখোলায় মাঠে গরু আনতে গিয়ে মো. আবুবক্কর খান (২৮) নামের এক কৃষক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিকালে উপজেলার ৩নং-রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের বুড়ির মাঠ এলাকায়।
নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার পূর্বধলায় বজ্রপাতে আশা মনি (৭) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় সেলিনা খাতুন (৫০) নামের এক নারী আহত হন। তিনি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিকালে উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশা একই গ্রামের আবদুল আলীর মেয়ে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ২ জন নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়ন ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের পাড়মোড়দহ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে সেলিম রেজা (৩০) ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের হাওড়া গ্রামের লালচান মিয়ার ছেলে আবদুল আলিম (৩৭)।
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে জানান, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ক্ষেতে মরিচ তোলার সময় বজ্রপাতে বাধন রায় (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের চকদুর্গা রামসাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাধন রায় ওই এলাকার নারায়ণ চন্দ্র রায়ের ছেলে।