গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জন্য তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করে পুরো সাংবাদিক সমাজকে হেনস্তা করা হয়েছে। সাংবাদিক রোজিনাকে মুক্তি দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া উচিত। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল সলিডারিটি ফ্রি প্যালেস্টাইন শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে রোজিনা ইসলামকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া। এ ঘটনার জন্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে জনগণ শিগগিরই বিচারকদেরও বিচার করবে। অনুষ্ঠানে জেলখানায় হেফাজতে ইসলাম নেতার মৃত্যুকে একটি হত্যাকা- বলেও মন্তব্য করেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সত্তর বছর ধরে একটি জাতি লড়াই করছে। আমরা তাদের এ লড়াইয়ের প্রতি সংহতি জানাই। আজ ক্ষমতাসীনরা একদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে, আবার অন্যদিকে যারা দেশে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে, তাদের গ্রেপ্তার করছে; এটি ফ্যাসিবাদী চরিত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় কারান্তরীণ রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে নাগরিক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাষানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য ফরিদ উদ্দিন, ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।