বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস রয়েছে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে, যার বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই লঘুচাপ থেকেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। আগামী ২৩ থেকে ২৫ মে’র মধ্যে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে।
যশ’র গতিমুখ থাকবে বাংলাদেশের সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম এলাকার দিকে। ঘূর্ণিঝড়টি এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই।
প্রতিবেদনে ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দেশটির আশঙ্কা, শক্তি বাড়িয়ে এই ঘূর্ণিঝড় গত বছরের আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। আছড়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। আপাতত ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে।
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এক সঙ্গে দুটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে, একটি বঙ্গোপসাগরে, আরেকটি আরব সাগরে । আগামী ২৩ থেকে ২৫ মে’র মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আবর সাগরে ইতোমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে ভারতের গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার পর্যায়ে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, আগামী পাঁচদিনের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভ্যাপসা গরমের মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীতে দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। দুই ঘণ্টায় ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। সিলেটেও বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে সিলেটে ৬৭ মিলিমিটার। তবে এদিন খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের অনেক অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহও বয়ে গেছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস জানান, তাপপ্রবাহ চলতি সপ্তাহ ধরেই থাকবে। এ তাপপ্রবাহ ২৫ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বিভিন্ন অঞ্চলে। এ সময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।