জুনে করোনার তৃতীয় ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউ আবার ইউটার্ন নিতে পারে

Slider টপ নিউজ

আগামী জুনের শুরুতে আবারও বাড়তে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর মধ্যে করোনার ভারত ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে নেপালের মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ভারত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার পরামর্শও তাঁদের। তাঁরা বলছেন, বিশ্বজুড়েই এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় ধরন। পাশের দেশ হওয়ায় সতর্ক পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। যেমনটি হয়েছে নেপালে। কিছুদিন আগেও নেপালে ভালো পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু হঠাৎই পরিস্থিতির অবনতি হয়। এদিকে ঈদের পর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমিতসংখ্যক যারা বাংলাদেশে আসছেন তাদের যথাযথভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ঈদের পর আরও কয়েক দিন যানবাহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে অর্ধেক কর্মী নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় জনসমাগম বন্ধ রাখতে হবে। কঠোরভাবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। টিকা দিলেও বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। তাহলেই করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহীদুল্লা বলেন, ‘ভারত ভেরিয়েন্ট যদি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে জুনে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। দ্বিতীয় যে ঢেউটা কমিয়ে আনা হয়েছে তা আবার ইউটার্ন নিতে পারে। এজন্য আমাদের সীমান্ত আরও কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে।’ এদিকে ঈদ শপিং আর ঈদযাত্রায় বাধা হতে পারেনি করোনা সংক্রমণ। ঝুঁকি নিয়েই মানুষ বাড়ি ফিরছে। শপিং করছে ক্রেতাসাধারণ। সর্বত্রই উপচে পড়া ভিড়। একজনের গায়ে অন্যজন লেগে কেনাকাটা করছে। বাড়ি ফিরতে গিয়ে লঞ্চেও ছিল বিপুলসংখ্যক মানুষ। সর্বত্রই উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। অনেক মানুষই পরছে না মাস্ক। মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। মানুষের এভাবে বাড়ি ফেরা এবং ঈদ-পরবর্তী একইভাবে কর্মস্থলে যোগদান ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ইতালি, ইংল্যান্ড থেকে এসে যদি দেশে করোনা সৃষ্টি হতে পারে তাহলে আমাদের পাশের দেশ থেকে এটা আসতে পারে বা আসবে তা ধরেই নিতে হবে।

ঈদের পর এক সপ্তাহ বাড়তে পারে লকডাউন : দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট রোধে ঈদুল ফিতরের পর চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ১৬ মে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনার বিস্তার রোধে আমাদের পরিকল্পনা আছে আর এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর। দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।’ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরলেই নিরাপদ, আর না পরলে বিপদ- এ কথাটি মাথায় রাখতে হবে।’

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে। করোনার কারণে ঈদে লঞ্চ, ট্রেন এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *