‘ভাড়ায় যদি সউগ দিয়ে দেই, তাইলে বাড়িত কী নিয়ে যামো?’

Slider টপ নিউজ


ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: মুসলিম উদ্দিন। বয়সের ভাড়ে অনেকটা নুইয়ে পড়েছেন। তারপরও পেটের তাগিদে সংসার চালানোর লক্ষ্যে কয়েকদিন আগে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে ধানকাটা শ্রমিক হিসেবে টাঙ্গাইল এসেছিলেন।

শুধু মুসলিম উদ্দিন নয়, তার সঙ্গে আব্দুর রহিম, শফিকুল, কুদ্দুস, ইয়াছিন, মজিদসহ ১০-১২ জনের একটি দল ছিল। ঈদের আগে গেরস্তের কাছ থেকে পারিশ্রমিক নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার বাবলা এলাকায় সড়কের পাশে গাছ তলায় বসে রয়েছেন। অপেক্ষা যানবাহনের। ঈদ করতে যেতে হবে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে। বাড়িতে অপেক্ষা করছেন স্ত্রী-সন্তানরা।
তাদের জন্য জামাকাপড় ও পরিবারের জন্য সেমাই চিনি কিনতে হবে। কিন্তু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের বাড়ি ফেরা। দূর পাল্লার বাসও নেই। ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাসে ভাড়া চাচ্ছে কয়েকগুন।

মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ধানকাটা শ্রমিকদের এমন জটলা দেখা গেছে। যারা বাড়ি ফেরার জন্য মহাসড়কের পাশে বসে রয়েছেন। কেউবা মহাসড়ক দিয়ে হেটে যাচ্ছেন।

ধানকাটা শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন বলেন, কদিন হাতে ধান কাটিয়া তিন-চার হাজার টাকা পাইচ। এই দিয়ে বাড়িত গিয়ে বউ পোলাপান ও নাতি নাতনির নিয়ে ঈদ করমো। কিভাবে বাড়িত যামো বুঝবার পাওচি না। অনেক বেশি ভাড়া চায়। কমে কিভাবে যাওয়া যায় তার জন্য সড়কের পাশত বসি আচি।

আরেক শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সকাল হাতে সড়কও দাঁড়ে আচি। কিছুতেই বাড়ি যাইতে পারতোচিনা। ভাড়া চায় ৫০০-৬০০ টাকা। গাড়ি ভাড়ায় যদি সউগ দিয়ে দেই, তাইলে বাড়িত কী নিয়ে যামো?

এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, যে সমস্ত ধান কাটা শ্রমিক দেখতে পাচ্ছি তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় বাড়ি পৌঁছার ব্যবস্থা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *