আজ পুণ্যময় রজনী লাইলাতুল কদর

Slider জাতীয়


ঢাকা; আজ ছাব্বিশতম রমজান। পুণ্যময় রজনী লাইলাতুল কদর। রমজান মাসের শেষ দশকের কোনো না কোনো বেজোড় রাত্রিতে শবেকদরের তালাশ করতে হয়। রাসুলে পাক (সা.) শবেকদর লাভের আশায় রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন যে, রমজানুল করিমে মহান আল্লাহ্‌কে স্মরণকারী ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর মহান আল্লাহ্‌র দরবারে প্রার্থনাকারী ব্যক্তি বঞ্চিত হয় না। মাহে রমজানের শেষ রাতে আল্লাহ্‌পাক রোজাদারকে মাগফিরাত দান করেন। সাহাবায়ে কেরামগণ রাছুলে পাক (সা.)কে জিজ্ঞেস করলেন যে, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) এ রাত কি শবেকদর না শবে মাগফিরাত? নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন যে, বরং নিয়ম হলো এই যে, শ্রমিক যখন তার কাজ শেষ করে তখন তাকে পারিশ্রমিক দিতে হয়।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম (সা.) বলেন- রমজান মাসের প্রত্যেক রাতে একজন ফেরেশতা এই ঘোষণা করেন যে, হে কল্যাণকামী এদিকে মন দাও। কল্যাণের পথে অগ্রসর হও, হে অন্যায়কারী এবার বিরত হও। চোখ খুলো- এরপর সেই ফেরেশতা বলতে থাকেন, আছো কি কোনো ক্ষমাপ্রার্থনাকারী- তোমাদের ক্ষমা মঞ্জুর করা হবে। শবেকদর ঐ পুণ্যময় রজনী-যে রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। এই রাতকে পুরো মাসব্যাপী অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। যদি এই রাতসমূহে জাগরণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে শবেকদরের রাতে তুলনামূলক অধিক ইবাদত করবে। শবেকদর মহিমান্বিত জীবনের আশ্বাস সংবলিত জীবনের পয়গাম। শবেকদরের রাতে এই দোয়াটি বেশি বেশি করে পাঠ করবেন। আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফউন, তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্না ইয়া করিম। অর্থাৎ হে আল্লাহ, তুমি বড় ক্ষমাশীল। ক্ষমাকে ভালোবাসো। কাজেই আমাকে ক্ষমা করো দাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *