এবার কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমাদ আবদুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক খেলাফত মজলিসেরও মহাসচিব।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি জানাতে রাজি হননি তিনি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম বলেন, ‘নতুন ও পুরাতন একটি মামলায় ডিবির তেজগাঁওয়ের একটি টিম সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় তাকে গ্রেপ্তার করে।’
তবে হেফাজতের যে নেতাদেরকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সবাইকে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থানকে ঘিরে তাণ্ডবের পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের দিন থেকে হেফাজত কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গ্রেপ্তার অভিযানে হেফাজতের যে নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আহমাদ আবদুল কাদেরই সবচেয়ে বড়। সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর অবস্থানই কেবল নায়েবে আমিরের ওপরে।
এর আগে হেফাজতের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক নেতা গ্রেপ্তার হন আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক। শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব ও সেক্রেটারি মামুনুল হক। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সহকারী মহাসচিব, প্রচার বিভাগের নেতাও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকজন নায়েবে আমিরও গ্রেপ্তারের তালিকায় আছেন। হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীও একাধিক মামলার আসামি। সংগঠনের সাবেক আমির শাহ আহমেদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলাতেও সম্প্রতি তাকে আসামি করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ২৩ এপ্রিল বাবুনগরী এক বিবৃতিতে গ্রেপ্তারের তালিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকার এই তালিকা দিলে তিনি সবাইকে গিয়ে কারাগারে চলে যাবেন। পুলিশকে আর কষ্ট করতে হবে না।