আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহনও চলবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ। তিনি বলেছেন, গণপরিবহন চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চললেও রোববার থেকে শপিংমল, মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। শুক্রবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর স্বাস্থবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। দূরপাল্লার বাসও চালাতে চান তারা।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশে ৩০ মার্চ থেকে অর্ধেক খালি রেখে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন শুরু করে গণপরিবহন। ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। লকডাউনে আওতামুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতে ৭ এপ্রিল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয় দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। ১৪ এপ্রিল ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হলে সিটি করপোরেশন এলাকায়ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আটদিনের জন্য জারি করা সর্বাত্মক লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বেড়েছে। তবে নানা বিধিনিষেধ শিথিল করে ধীরে ধীরে বিভিন্ন সেবা চালু করা হচ্ছে। এ সুযোগ চান পরিবহন মালিকরাও।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, কবে নাগাদ বাস চালু হবে- এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পইনি। আগের মতোই শুরুতে সিটি করোপরেশন এলাকায় বাস চালু হতে পারে। পরবর্তীকালে দূরপাল্লার বাস চালু হতে পারে। তবে মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের গণপরিবহনই চালাতে চান।