মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে তাকে তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আবু সুফিয়ান মো: নোমান ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা কাজি নাসিরুল ইসলাম (পরিদর্শক) মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ভার্চুয়াল আদালতে হাজির করেন। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল মতিঝিল থানার আরেক মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া প্রথম দফায় গত ১৬ এপ্রিল গাজীপুরের গাছা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় তাকে ২ দিনের রিমান্ডে দিয়েছিল আদালত।
গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিলে মোদি বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছিলেন ‘শিশুবক্তা’ খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়, থাকেন গাজীপুরে। তিনি নেত্রকোনার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক। এছাড়া তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গ সংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।