রংপুর: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের পড়তে হচ্ছে দালালদের খপ্পরে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।
লালমনিরহাট থেকে ৪ দিন আগে ওয়াহেদ নামে এক রোগী স্ট্রোক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় তারা রোগীকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। লালমনিরহাটের শিপন মিয়া নামে একজন জানালেন তার ভগ্নীপতি ছালামকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোগীর সুস্থ না হতেই তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার শাহাদৎ হোসেন নাকের সমস্যা নিয়ে ৪ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনিও চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি চলে গেলেন। কুড়িগ্রামের রেজাউল ইসলাম বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনিও কোন চিকিৎসা না পাওয়ায় স্বজনরা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। নীলফামারীর তছলিম উদ্দিন স্ট্রোক করে দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার স্বজনরা অভিযোগ করলেন ৪দিন থেকে হাসপাতালে রয়েছেন কিছু চিকিৎসা পাচ্ছেন না। গতকাল মঙ্গলবার ও বুধবার হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যবেক্ষণ করে এমন চিত্র দেখা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রমেক হাসপাতাল ১ হাজার ২০০ শয্যার হলেও প্রতিদিন এখানে ২২০০ থেকে আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসা নিত। করোনা প্রকোপ শুরু হওয়ায় রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। চলমান লকডাউনে রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে ৯০০ জনে এসেছে ঠেকেছে।
রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসকরা ঠিকমত আসেন না। ওষুধপত্র ও পরীক্ষা নিরীক্ষা সবকিছুই বাইরে থেকে করাতে হয়। এ অবস্থায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা জটিল রোগীরা পড়ছেন সমস্যায়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ওষুধ কেনা থেকে আরম্ভ করে যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে গেলে দালাল ছাড়া করা যায়না। দালাল সিন্ডিকেট এমনভাবে হাসপাতালকে গ্রাস করেছে তাদের ছাড়া রোগীদের এক পা বাইরে যাওয়া উপায় নেই।
হাসপাতালে পরিচালক ডা, রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।