বিয়ের একদিনের মাথায় বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় জসিম নগরীর সাগরদী এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে। গত ১৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে জসিম বিয়ে করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রথমে জসিম তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জসিম তার বাসায় গিয়ে দেখতে পান সেখানে তরুণী ছাড়া আর কেউ নেই। এ সময় তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় জসিম। কিন্তু তরুণী তাতে রাজি না হলে বিয়ের কথা বলে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করায় সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জসিম একইভাবে বিয়ের কথা বলে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে তার গর্ভপাত ঘটায়।
এরপর জসিম ঢাকায় হোটেলে, ওই তরুণীর বাসা এবং নগরীর চাংপাই রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় ওই তরুণীর বাসায় গিয়ে দুদিনের মধ্যে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে ভোর ৫টায় জসিম তার বাসায় চলে যায়। দুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিয়ের জন্য চাপ দিলে জসিম তরুণীকে জানায়, সে বিয়ে করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা ধর্ষণের অভিযোগ দেন থানায়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, তরুণীর লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন জানান, গত রোববার বিয়ে করেছেন তিনি। এই খবরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ওই তরুণীকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।