দুয়ারে কড়া নাড়ছে বৈশাখ। গত কয়েক বছরে বাংলা নববর্ষ ‘জাতীয় উৎসবে’ রূপ নিয়েছে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত বছর সেই চিত্র ছিল না। এবারও লকডাউনের কারণে সার্বজনীনভাবে হচ্ছে না পহেলা বৈশাখ উদযাপন। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এ আয়োজনে চারুকলা অনুষদ চত্বরে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র ১০০ জন অংশ নিতে পারবেন।
রবিবার (১১ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়ে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন।
তিনি বলেন, এ বছর করোনার কারণে সব আয়োজনেই জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেহেতু এটি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর, সেহেতু যদি আমরা কিছুই না করি, তবে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। তাই সীমিত পরিসরে হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করবে কর্তৃপক্ষ।
নিসার হোসেন আরো বলেন, শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকবে, বাইরে বেরুবে না এবং প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আমাদের চারুকলা অনুষদের চত্বর অনেক বড়, আশা করি, আমরা নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই সব সম্পন্ন করতে পারব।
এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার থিম নির্ধারণ করা হয়েছে, “কাল ভয়ঙ্করের বেশে এবার ঐ আসে সুন্দর”। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটা খারাপ সময় অতিক্রম করছি। তবে এ খারাপ সময়কে পার করে ভালো কিছু হবে, নতুন বছর আমাদের ভালো কিছুর বার্তা দেবে, এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।
এদিকে চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা গেছে, সীমিত পরিসরে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রা কার্যক্রমের প্রস্তুতি। তৈরি হচ্ছে মুখোশ। আঁকা হচ্ছে বিভিন্ন আল্পনা। আর চারুকলার বাইরের প্রাচীরও রাঙানো হয়েছে বিভিন্ন রঙের আল্পনায়।