নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৭ লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ক্রেণের মাধ্যমে নদীর পাড়ে টেনে আনে। এরপর লঞ্চটির ভেতরে তল্লাশী করে এসব লাশ উদ্ধার করে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর মো. সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী ও কোস্টগার্ড উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করে পাড়ে টেনে আনা হয়। এসময় লঞ্চের ভেতর থেকে নারী, শিশু ও বেশ কয়েকজন পুরুষসহ আরো ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত আরো ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
জানা গেছে, রাবিত আল হাসান’ নামের মুন্সিগঞ্জগামী একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। কিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অনেক যাত্রী নিখোঁজ ছিল।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ‘রাবিত আল হাসান’ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। ওইসময় শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী একটি জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চের যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠেছেন। তবে অনেকেই নিখোঁজ ছিলেন।
সূত্র : বাসস