সাভার থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি ভুয়া দলিল লেখক শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার সহযোগী নয়নকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত দু’দিনে তার হাতে আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়ার মৃত দারোগ আলীর ছেলে শহীদুল। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। জীবনের বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন মামলায় হাজত বাস করছেন তিনি।
জানা গেছে, সন্ত্রাসী শহীদুল ও তার দল গত সপ্তাহে সাভার সাব-রেজিস্ট্রার এসকান্দার আলীকে পিস্তলের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। প্রায় একই সময় দলিল লেখক সমিতির কয়েক নেতাকেও তিনি চড়-থাপ্পর দেন। এ ঘটনায় তার দলিল লেখার অফিস গুড়িয়ে দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় কয়েক নেতার হস্তক্ষেপে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পান। গত দুই দিন ধরে তিনি তার বাসার ৫/৬ সদস্যকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
এ ছাড়া তার বাড়ি সংলগ্ন দক্ষিণপাড়ায় চাঁদার দাবিতে ১০/১২ নারী-পুরুষকে মারধর করেন। নিজ ভাগ্নেকে জবাই করতে তার গলায় দা ধরে দীর্ঘ সময় ভয়ভীতি দেখান তিনি। এ সকল ঘটনায় পুলিশ তাকে সোমবার সকাল থেকেই খুজছিলো।
সোমবার এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়গুলো অবহিত করেন। পরে সংসদ সদস্যের নির্দেশে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ তাকে নিজ বাড়ির নিকট থেকে আত্মগোপন অবস্থায় গ্রেফতারে সক্ষম হন। এ সময় তাকে এলাকাবাসী উত্তম মধ্যম দেয়। রাতে তাকে পুলিশ প্রহরায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সাভার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সোয়েব আলী মোল্লা বাংলানিউজকে জানান, শহীদুলকে তার সঙ্গী নয়নসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং তার দখলে থাকা অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।