বৃহৎ উদ্দেশ্যে এক হচ্ছে চীন, ভারত ও পাকিস্তান। সন্ত্রাস দমনে এক যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে এই তিন দেশ। শুধু এই তিন দেশ-ই নয়, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) তরফে আয়োজিত এই মহড়ায় অংশ নেবে এ সংগঠনের অন্য সদস্য দেশগুলোও।
ভারতীয় অনলাইন দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়- চলতি মাসের ১৮ তারিখ উজবেকিস্তানের তাশখন্দে অনুষ্ঠিত র্যাটস (Regional Anti-Terrorist Structure- RATS) এর ৩৬ তম বৈঠকে এই মহড়া ‘পাব্বি-অ্যান্টিটেরর ২০২১’ এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ওই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
র্যাটস -এর বিবৃতি নিয়ে চীনা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া নিউজ জানিয়েছে- জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে, তা চিহ্নিত করে দমন করার ব্যাপারে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে।
ভারত, কাজাখস্তান, চীন, পাকিস্তান, তাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও র্যা টের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সন্ত্রাস দমনই ছিল আলোচনার মূল বিষয়।
উল্লেখ্য, র্যাটস এর সদর দফতর তাশখন্দে। সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতায় করাই এই সংগঠনের মূল কাজ।
অন্যদিকে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন একটি ইকোনমিক ও সিকিউরিটি ব্লক। ২০১৭ সালের ৯ জুন ভারত এবং পাকিস্তানকে এই ব্লকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে নেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠাতা দেশ হিসেবে রয়েছে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান।
১৯৯৬ সালে চীনের সাংহাইয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সাংহাই ফাইভ গ্রুপিং তৈরি করা হয়েছিল, সেই গ্রুপ-ই আজ সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের রূপ নিয়েছে।
চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানরা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সামরিক বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলতে এই গ্রুপ গড়ে তুলেছিলেন।