কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটেছে। আগুনে তিনটি ক্যাম্পের কয়েক সহস্রাধিক ঝুপড়ি ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে গেছে। সোমবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হয়। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বিকাল চারটার দিকে লাগা আগুনে অসংখ্য রোহিঙ্গা ঝুপড়ি ঘর পুড়ে গেছে। স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে বিকাল ৫টা নাগাদ ঘটনাস্থলে কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের ৫টি টিম পৌঁছে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের সঠিক তথ্য এখনো জানা যায় নি।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে বালুখালী ৮ নম্বর ই ডব্লুভিইউ- ক্যাম্পে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী ৯ ও ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী স্থানীয়রা বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর বসতিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট রামু সেনানিবাসের টিম পুলিশ এপিবিএন এবং স্থানীয় গ্রামবাসী একসাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।
বালুখালি ৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন টেকনাফ, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশনের ৫ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর টিম পুলিশ এপিবিএন এর সদস্যরা ঘটনাস্হলে আসে।
বালুখালি ক্যাম্পের বসবাসকারী মোহাম্মদ রফিক নামের এক মাঝি (ক্যাম্প নেতা) জানিয়েছেন, ৮,৯,১০ নম্বর ক্যাম্পে আগুন ধরেছে, এখন সেখান থেকে আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
কক্সবাজারের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) আতিকুর রহমান জানান, ‘কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাতাসের গতি বেশি হওয়ার কারণে আগুন বিভিন্ন ব্লকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এই মুহূর্তে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’ প্রাণহানি এড়াতে বিভিন্ন ব্লক থেকে রোহিঙ্গা সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা জানান, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিকালে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন এখনো জ্বলছে। তবে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, উখিয়া পুলিশ, এপিবিএন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য সবাই
একযোগে কাজ করছে। এখনো পর্যন্ত কি পরিমাণ রোহিঙ্গাদের বসতি ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।