বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমারে বাড়ছে নয়া সঙ্কট। সেখানে দেখা দিতে শুরু করেছে খাদ্য ও জ্বালানির সমস্যা। ফলে লাগাতার বাড়ছে দাম। এমন অবস্থায় গরিব মানুষদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মিয়ানমারের রাজনীতি বিশ্লেষক বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি রীতিমতো এখন রক্তাক্ত। এই চাপান-উতোর রীতিমতো বিপাকে ফেলেছে দেশের গরিব মানুষদের। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের দাম মাত্রাছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোন কোন জায়গায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সাধারণ মানুষের প্রধান খাবার ভাত বা চালের দাম বিভিন্ন বাজারে ৩ শতাংশ বেড়েছে। দেশজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ । গণতন্ত্র ফেরানোর আর্জি নিয়ে ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকাসহ একাধিক দেশ। বার্মিজ সেনাকে কাবু করতে কয়েকদিন আগেই প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা । বাণিজ্য দপ্তর শুধু তাই নয় মিয়ানমার ইকোনমিক কর্পোরেশন ও মিয়ানমার ইকোনমিক পাবলিক কোম্পানি নামে দুটি সরকারি সংস্থাকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাইডেন প্রশাসন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে চলেছে তার প্রশাসন। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দ্রুত ক্ষমতা ফেরানোর জন্য সামরিক বাহিনীকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন তিনি। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে একাধিক কর্তা ও তাদের পরিবারের লোকজন। এর ফলে আমেরিকায় তাদের ব্যাংক একাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারে স্বাস্থ্য ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরঞ্জাম ছাড়া অন্য পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করতে পারে ওয়াশিংটন।