নোয়াখালী: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী তৎকালীন জাসদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে সপরিবারে হত্যা করেছিল। আর এখন আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হেফাজতে ইসলাম আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘তৎকালীন জাসদ গণবাহিনী সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ এবং তৎকালীন সরকারকে অজনপ্রিয় করার সকল ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা (জাসদ) ভারতীয় দূতাবাস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হামলা করেছিল। জাসদের খিজির ( খিজির হায়াত খান), নুর নবীরা (নুর নবী চৌধুরী) হত্যা, লুন্ঠন, ব্যাংক ডাকাতি করেছিল। এ জাসদের ষড়যন্ত্রেই (খিজির-নুরনবী) এখন আমাকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরাই তৎকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কামালকে হত্যা, আমার মামা আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক খান, মুক্তিযোদ্ধা জামাল, নুর নবী মাস্টারকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছিল। আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে এ জাসদের নেতারা হত্যার চেষ্টার কারণে তাকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে তৎকালীন মুজিব বাহিনীর প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। না হয় জাসদের খিজির-নবীরা ওবায়দুল কাদেরকেও হত্যা করতো। এর এখননো জীবন্ত সাক্ষী আছেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের।’
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘১৭ মার্চ উপলক্ষে আমার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি র্যালি, ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। অথচ কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসন উপজেলা চত্বরে এখন বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
বিএনপির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এ জনপদে তিনিই (ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ) উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ রচনা করেছিলেন। এজন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার লেখা বইয়ে আমি পড়েছি, তিনি উল্লেখ করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে না আসলে ভারতীয় মিত্রবাহিনী কখনো এদেশ থেকে ভারতে ফিরে যেত না।’