অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশে বইমেলা। এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
মোট ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বিস্তৃত পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে বইমেলা। অংশ নিচ্ছে ৫৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। করোনাকালের বাস্তবতায় এবারের গ্রন্থমেলায় সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাবে স্বাস্থ্যবিধি। মেলায় আগতদের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। ২৮ দিনব্যাপী মেলা শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আজ বিকাল ৩টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির ইংরেজিতে অনূদিত ‘NEW CHINA 1952’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদান করা হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
এবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউ-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব প্রান্তে নতুন একটি প্রবেশ পথ এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া টিএসসি এবং বাংলা একাডেমির উলটা দিক মিলে সোহরাওয়ার্দীতে তিনটি প্রবেশ পথ ও তিনটি বাহির পথ থাকবে। প্রত্যেক প্রবেশ পথে সুরক্ষিত ছাউনি থাকবে, যাতে বৃষ্টি ও ঝড়ের সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট; মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর থাকবে উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি পাঁচটি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে। শিশু চত্বরও মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। একক ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। বইমেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন, শিশু-কিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য একটি এবং সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকারের একটি স্টল থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। ১৯ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।