স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের যৌথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আজ ঢাকা আসছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহীম মোহাম্মদ সলিহ্। ১৭-২৬শে মার্চ ১০ দিনব্যাপী ঢাকার বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে আসছেন সার্কের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র মালদ্বীপের নির্বাহী প্রধান। বাংলাদেশে তিনদিন ব্যস্ত কর্মসূচিতে কাটাবেন তিনি। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে- প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানাবেন। এরপর সলিহ্ বিকালে তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিকাল সাড়ে ৪টায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা আজ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দেশ এবং বিদেশের অতিথিরা এই উৎসবে যোগ দেবেন।
স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে ১৭ই মার্চ থেকে ২৬শে মার্চ এই অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হবে। ১০ দিনের এই অনুষ্ঠানের থিম হচ্ছে “মুজিব চিরন্তন”। তবে বিভিন্ন দিনের অনুষ্ঠানে পৃথক থিম থাকবে। ১৭ই মার্চের অনুষ্ঠানের থিম হচ্ছে ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জোতির্ময়’। নির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ইবরাহীম মোহাম্মদ সলিহ্ বঙ্গভবনে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন। এ সময় দুই রাষ্ট্র-প্রধানের উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউএস) স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। পরে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের দরবার হল গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আয়োজিত এক নৈশভোজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাকসে দুইদিনের সফরে ১৯শে মার্চ বাংলাদেশ পৌঁছুবেন। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী দুইদিনের সফরে ২২শে মার্চ ঢাকা পৌঁছবেন। সফরসূচি অনুযায়ী ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ ও ২৫শে মার্চ ঢাকা সফর করবেন। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬শে মার্চ ঢাকা পৌঁছবেন এবং ২৭শে মার্চ দেশে ফিরে যাবেন।