ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, সাত ছাত্রনেতার নামে মিথ্যা মামলা বাতিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি ও রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মুশতাকের মৃত্যু ও কার্টুনিস্ট কিশোরের নির্যাতনের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ পালন করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন সমূহ। এই সংগঠনের আওতাধীন ৯টি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে তারা শহীদ মিনার ঘুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে যেতে চায়। কিন্তু প্রেসক্লাবের সামনে এসে পুলিশের বাধায় পড়েন। সেখানেই তারা অবস্থান নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বিক্ষোভে বক্তারা চার দাবিসহ নরেন্দ্র মোদির আগমণের বিরোধিতা করেন।
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের আগে দেখতে হবে এই সরকার কেন স্বৈরাচারী। বিনাবিচারের হত্যাকাণ্ড, যে দেশে লেখককে কারাগারে নেয়া হয়, ডিজিটাল আইন দিয়ে অন্যায় করা হয়, কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পায় না কিন্তু তাদের অনধিক মূল্য দিয়ে কিনতে হয়। এই সরকার সব করছে।
স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তীতে আনা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী। এর মাধ্যমে স্বাধীনতাকে হেয় করা হচ্ছে। আজ সরকার উন্নয়নের ফাপা বুলি দিয়ে দুর্নীতি করে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ডিজিটাল আইন বাতিল করা হবে, সাত গ্রেপ্তার নেতাকে মুক্তি দেয়া হবে না। মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার করা হবে না ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিম হোসেন, সভাপতিত্ব করছেন ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায় প্রমুখ।