রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জীবিকার তাগিদে কখনও রিকশা, আবার কখনও অন্যের বাড়িতে দিন মজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বেতঝুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. মজিবুর রহমান।
পৈতৃক ভিটা মাটি ছাড়া মুজিবর জীবিকার তাগিদে শেষ বয়সে এসে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন। সরকারী জমিতে ছোট্ট দু’টি ঘর বেঁধে বহুকাল ধরেই থাকেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেতঝুড়ি গ্রামে। দু’চোখে শুধু অন্ধকার দেখছে। শেষ বয়সে না চালাতে পারবে রিকশা। দিনমজুরে কাজেও নিতে চায় না তাকে কেউ। অর্থের অভাবে কলেজ পড়ুয়া ছোট ছেলে ইসমাঈলের লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে। বড় ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে পঞ্চম শ্রেণী পযন্ত পড়াতে সক্ষম হয়েছেন। আর বড় মেয়েকে সামান্য পড়িয়ে বিয়ে দিয়েছেন।
দিনমজুর মজিবর বলেন, জন্মের পর থেকে যখন বুঝতে শিখছি, তখন থেকে বাবার রিকশায় প্যাডেল ঘোরাতে শুরু করি। আর বর্তমান আধুনিক সমাজে পায়ে প্যাডেল ঘোরানো রিকশায় কেউ উঠতে চায় না। তাই রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ শুরু করি। এতে করেও আমার সংসারে আলোর মুখ দেখিনি।
শেষ বয়সে এসে সংসার নিয়ে অন্ধকার দেখছিলাম।
তার স্বপ্ন ছিলো একটি দোকানে চা বিক্রি করে শেষ জীবন কাটিয়ে দিবে।
কিন্তু দোকান নির্মাণ করার করার মত তেমন কোন অর্থ দিনমজুর মজিবরের ছিলো না। এমন খবর পেয়ে দিনমজুর মজিবরের স্বপ্ন পূরণ করতে, নিজস্ব অর্থায়নে দোকান ঘর নির্মাণ করে দিলেন সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি। মজিবর আরও বলেন, চা বিক্রি করে শেষ বয়সে আমার সংসার চালাতে সক্ষম হবো। আর আমার ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে।