নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমাকে টার্গেট করে বৃষ্টির মতো গুলি করা হয়েছে। আমার মনে হয় পাঁচ থেকে সাত শ’ গুলি এখানে করা হয়েছে। আমার পাশে যে ছেলেটা থাকে সে গুলি খেয়ে পড়ে গেছে।’
বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে শুইয়ে দিয়ে আমার ওপরে কাইয়ুম মাস্টার নামে একজন শুয়েছিল। আমি শুধু আল্লাহকে ডাকছিলাম।’
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, ‘আমাদের ডাকা প্রতিবাদ সভায় হামলা চালিয়েছে মেয়র কাদের মির্জা বাহিনী। পরে রাতে আমাদের অনুপস্থিতিতে আবারো গুলিবর্ষণ করে আমার বাড়ির পাশের গরিব সিএনজিচালক আলাউদ্দিনকে হত্যা করেছে।’
আপনি এখন কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপাতত আমি শান্ত আছি। আমাকে নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, শান্ত থাকার জন্য। তিনি কী করেন আমি দেখি। না হলে পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমি ব্যবস্থা নেব।’
মামলা করার প্রশ্নে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি মামলার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। পুলিশ আমার আগের মামলাও নেয়নি। তারা বলেছে, আমার অভিযোগ নাকি ওপরে চলে গেছে।’
এখানকার প্রশাসন সব বায়াস্ট (প্রভাবিত) হয়ে গেছে দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, ‘এখানে একরাম ও নিজাম হাজারী তাদের সমস্ত অস্ত্র এই এলাকাতে ঢুকিয়েছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আলাউদ্দিন নামের এক সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। নিহত আলাউদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল।
সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি ও ছয় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। তাদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক) নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ১২ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।