আগামী ২৬শে মার্চের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে কালাকানুন। এটি অবশ্যই কবর দিতে হবে। নিরাপত্তার জন্য অন্য আইন আছে, প্রয়োজনে সেটি সংশোধন করুন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে প্রতারণা করবেন না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না, কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এখন প্রায় এক হাজার মানুষকে কারাগারে রাখা হয়েছে। একটি কার্টুন আঁকলে কি এমন ক্ষতি হয়।
কারাগারে মুশতাক আহমদকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে। এখন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যদি চিকিৎসা দেয়া না হয়, এ কারণে তার যদি মৃত্যু হয় তাহলে এর জন্য কে দায়ী হবে। সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে এর দায় নিতে হবে। দেশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর এসেছেন। তিনি গৎবাঁধা নানা কথা বলছেন। তিনি বলছেন সীমান্তে বিনা বিচারে আর মারা হবে না। কিন্তু ফেলানি হত্যার বিচার কি হয়েছে? সীমান্তে প্রতি সপ্তাহে আমাদের মানুষকে হত্যা করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার কল্যাণ চাই। আপনাকে আমরা জীবিত দেখতে চাই। আপনি উজবুক মন্ত্রীদের কথা শুনবেন না। দেশে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মন্ত্রীদের তখন খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ জন্য আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যার প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনডিপির সভাপতি ক্বারী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা শওকত আমিন প্রমুখ।