মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে আবার নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে। বুধবার অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবারের দেশব্যাপী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়। মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্ট থিনজার শুনলেই রয়টার্সকে বলেন, ‘বীভৎস ঘটনা, এটা রীতিমতো হত্যাকাণ্ড। পরিস্থিতি বা অনুভূতি বর্ণনা করার ভাষা নেই আমার।’
রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রের সাথে সারা দেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে জানতে ফোন করা হলেও তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
বুধবার সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে মোনায়া শহরে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে পাঁচ জন মারা যান সেখানে। পাঁচজনের মধ্যে চার জন পুরুষ, অন্যজন নারী।
মোনায়া গ্যাজেট-এর সম্পাদক কো থিট সার বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের পরিবার এবং ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে পাঁচ জনের মৃত্যুর বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’ মধ্য মিয়ানমারের শহরটিতে একই দিনে ৩০ জন আহত হওয়ার এবং তাদের মধ্যে কারো কারো এখনো জ্ঞান না ফেরার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে রাজধানী ইয়াঙ্গনে অন্তত তিন জন, মান্দালায় দু’জন, হ্পাকান্তে দু’জন এবং মিঙানেও একজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
অং সান সু চি-র মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা ও ডয়েচে ভেলে