ঢাকা,বুধবার ৩, মার্চ ২০২১: দেশের কারাগারগুলোতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সকল সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)। আইনটির যাতাকলে কেবলই সাংবাদিক, লেখক ও মুক্তমনা ব্লগারদের হয়রাণী করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পিকে হালদারের মত চোর-ডাকাতরা নিমিষেই রাষ্ট্রকে গিলে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রকে ভিখারীতে পরিনত করতে বেশি সময় লাগবেনা।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সরকারের আইনমন্ত্রীর নিকট আইনটি সংশোধনের পূণ:দাবি করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ প্রকাশের কারনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হলে চিকিৎসাকালে রোগির মৃত হলে কেন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবেনা? আর সাংবাদিকরা অন্যায়-অনিয়ম, অপরাধীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে কেন মামলা হবে? রাষ্ট্রবিরোধী লেখায় কেউ মামলায় আসামী হলে দায় তারই। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি-ডাকাতি, অনিয়ম-দূর্ণীতি, অপরাধীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে আগেরমত মানহানি মামলা করা যেতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি ২০১৮ সালে পাসের আগ থেকে আইনটি সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। তবে ওই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে এ আইনের দ্বারা সাংবাদিকদের হয়রাণী করা হবেনা বলে আশ্বাস দিলেও তা কাজে দেখা মেলেনি। তার প্রমান বিনাবিচারে কারাগারে আটক লেখক মুশতাক আহমেদ। এ আইনটি এতই ধারালো যে ৭/৮বার জামিন চেয়েও জামিন দেয়া হয়নি। অসুস্থ্য শরীরে তাকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারেই মরতে হয়েছে।
ইতিমধ্যে আইনটি সংশোধনের ব্যাপারে জাতিসংঘ থেকে মঙ্গলবার বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। জবাবে আইনমন্ত্রী ডিজিটাল আইনে অপপ্রয়োগ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু আশ্বাস নয়, আইনটির দ্ধারা সাংবাদিকদের আওতামুক্ত রাখার দাবি গোটা সাংবাদিকের বলে জানান বিএমএসএফ।
দেশে অতিরিক্তমাত্রায় সাংবাদিক লাঞ্ছিত, নির্যাতন, মিথ্যা-মামলা, হামলা এবং হত্যার মত ঘটনা বেড়েই চলছে। এ থেকে গোটা সাংবাদিক সমাজ পরিত্রান চায়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনসহ সাংবাদিক নির্যাতন-হত্যা বন্ধে সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে আমাদের প্রতিবাদ চলমান থাকছে।