করোনায় প্রায় এক বছর ধরে নীরব নিস্তব্ধ সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নানা সংকটে শিক্ষার্থীরা। বাড়ছে সেশনজট। পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় অনেকে আবেদন করতে পারছেন না চাকরির পরীক্ষার। এসব কারণে ক্যাম্পাস এবং হল খুলে দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। এই আন্দোলনের মধ্যেই গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আরো তিন মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আগামী ২৪শে মে সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে এর আগে কোথাও ক্লাস পরীক্ষা নেয়া যাবে না বলে সতর্ক করা হয়।
এ ঘোষণার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। ক্যাম্পাসে হল খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত শনিবার ও গতকাল হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও গতকাল একটি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সরকারি সিদ্ধান্ত জানার পর বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে বলে ভিসি অধ্যাপক আকতারুজ্জামান গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। ওদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ছাত্র অধিকার পরিষদ জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
মার্চেই হল খোলার দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের: বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, ১৭ই মে নয়, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাশে জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর আগে সকালে ড. মু. শহীদুল্লাহ হল ও অমর একুশে হলে ঢুকে যান বেশকিছু শিক্ষার্থী। পরে প্রশাসন ও হল সংসদের হস্তক্ষেপে তারা হল ছাড়েন।
রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি, হল খুলবে ফেব্রুয়ারি’, ‘সব হল খুলতে হবে, নইলে তালা ভাঙতে হবে’, ‘ভিসি স্যার টিকা নিন, হল সব খুলে দিন’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রায় এক বছর হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল বন্ধ। টিকাও চলে এসেছে। এখন হল খুলতে এতো বিলম্ব করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো, মে মাসে হল খোলার যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক।
জুনায়েদ হোসেন খান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কখন খুলবে এই সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিতে পারে। আর সরকারের সকল সিদ্ধান্ত যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেনেছে সেটিও নয়। আমরা চাই, আমাদের এতোদিন হওয়া সেশনজট আর দীর্ঘায়িত না হোক। আমরা চাচ্ছি এগ্রেসিভ না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে হল খোলা হোক। আমরা মার্চের এক তারিখ থেকে হলে উঠতে চাই।
এদিন সমাবেশ থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এরপর রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের ৫ প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি ভিসির হাতে তুলে দেন।
ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, আমরা স্যারকে আমাদের দাবি জানিয়েছি। স্যার মনোযোগ সহকারে আমাদের দাবি শুনেছেন। স্যার বলেছেন, আগামীকাল (আজ) একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে আমাদের দাবির ব্যাপারে আলোচনা হবে। আমরা আগামীকাল কি সিদ্ধান্ত হয় সেটি দেখবো। সে অনুযায়ী আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবো।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, আগামীকাল (আজ) সাড়ে ১০টায় একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং রয়েছে। আজ হওয়া জাতীয় সিদ্ধান্ত, প্যানডেমিক সিচ্যুয়েশন, শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনাসহ শিক্ষার্থীদের সবগুলো বিষয় নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করা হবে। সেখানেই সকল বিষয় সমন্বিত করে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।
হল খোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ভিসি বলেন, প্যানডেমিকের সময়ে কোনো বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয় বরং সমন্বিত সিদ্ধান্তের দিকে আমাদের এগোতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল। তারা এ বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
হল ছাড়তে নারাজ জাবি শিক্ষার্থীরা
জাবি প্রতিনিধি জানান, সরকারের হল ত্যাগের নির্দেশনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হল ছাড়তে দেয়া প্রজ্ঞাপনকে উপেক্ষা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে অনড় অবস্থানে রয়েছে। গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ আরো পাঁচ দফা দাবি জানান। তার মধ্যে হল থেকে কাউকে বের না করা ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে নয় বরং হামলাকারী নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নামে মামলা করার দাবি জানান তারা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুনরায় লাগানো তালা ভেঙে হলে ঢুকেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল ছাড়ার অনুরোধ করতে হল প্রশাসন হলে গেলেও শিক্ষার্থীরা তা আমলে নেয়নি।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে হল ছেড়ে দেয়া, ১৭ই মে থেকে হল খোলা ও ২৪শে মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপট আলাদা। হলের বাইরে থাকতে কেউ নিরাপদ বোধ করছে না। তাই আমরা হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে জোর করার মানসিকতা তাদের নেই।
পহেলা মার্চেই হলে প্রবেশ করতে চান রাবি শিক্ষার্থীরা
রাবি প্রতিনিধি জানান, পহেলা মার্চেই হলে প্রবেশ করতে চান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। আমরা আশা করছি সেখানে তারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে হল খোলার একটা সিদ্ধান্ত নিবে। আমরা ইউজিসি’র সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ সম্মেলনে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো। তবে আমরা হলে ঢুকতে বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করবো।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে খাইরুল ইসলাম দুখু বলেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে আমরা ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের’ স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন। এজন্য দুইদিন আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপরেও যদি কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে ২৫শে ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঘোষণা জানিয়ে দিবো। তবে ২৮ তারিখের পর আমরা আর চুপ করে থাকবো না। পহেলা মার্চেই যেকোনো ভাবে হলে প্রবেশ করবো।
এর আগে বেলা ১১টায় হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে ঘটনাস্থলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ২৮ তারিখ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন। দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ইবি শিক্ষার্থীদের
ইবি প্রতিনিধি জানান, আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে সমবেত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভাঙারও চেষ্টা করে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৭ই মে হল ও ২৪শে মে থেকে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময়ে কোনো ধরনের একাডেমিক পরীক্ষাও নেয়া যাবে না বলে জানান তিনি। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে আজ সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান তারা।
এর আগে রোববার একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ভিসির আশ্বাসে আশ্বস্ত না হওয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে তারা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকল বিভাগের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
জোড়ালো হচ্ছে ববির আন্দোলন
ববি প্রতিনিধি জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় আবারো জোড়ালো হচ্ছে আন্দোলন। চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবসেও আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৫টায় হামলার মদতদাতা বাস মালিক শ্রমিক সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে পোস্টার ফেস্টুন নিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
আজ থেকে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেয়া হলেও চরমোনাইয়ের মাহফিল উপলক্ষে তা বাতিল করা হয়। তবে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল ৮টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি আলিসা মুনতাজ বলেন, আমরা আজ বিকাল ৫টায় চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। বিশেষ কারণে আজ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।