কোভিড দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে এমন একটি ধারণা যখন ভারতীয়দের মধ্যে প্রোথিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে কোভিডের নতুন ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে চারটি রাজ্য বিপন্ন কোভিডের দ্বিতীয় আঘাতে। ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জীবাণুর নতুন চেহারা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিজ্ঞানীদের কপালে। যে চারটি রাজ্যে কোভিড ফের থাবা গেড়ে বসেছে সেই চারটি রাজ্য হল পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, কেরালা এবং মধ্যপ্রদেশ। এর মধ্যে মুম্বাই এবং বিদর্ভের কিছু অংশে নতুন করে আংশিক লকডাউন চালু হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলিও নিরাপদ তা ভেবে নেয়ার কোনো কারণ নেই। পরপর পাঁচদিন দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ৯ হাজার ১২১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ১১ হাজার ৬১০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ হাজার ১৮৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৩ হাজার ১৯৩ এবং ২০ ফেব্রুয়ারি ১৩ হাজার ৯৯৩ জন কোভিড আক্রান্ত হন। ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন একদিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল ভারতে। এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। সেদিনের থেকে আক্রান্ত আজ অনেক কম হলেও যে ভাবে তলানিতে পৌঁছেও ফের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। নতুন করে গাইডলাইন প্রণয়নের কথাও ভাবা হচ্ছে। ভাইরোলজিস্টরা বলছেন মুম্বাই ও বিদর্ভে যে জীবাণুর ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে তা আগের জীবাণু থেকেও দ্রুত সম্প্রসারণশীল। এটাই এখন ভাবাচ্ছে ভারতকে।