রাজধানীর সায়েদাবাদ সংলগ্ন ওয়ারির টিকাটুলিতে প্রেমিক সজিব হাসানকে (৩২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পাঁচ টুকরা করে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রেমিকা শাহনাজ বেগম (৫০)। শুক্রবার আসামি শাহনাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
আদালতে ওই নারীর জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সজিব হাসানের সাথে শাহানাজ পারভিন ছাড়াও একাধিক নারীর সম্পর্ক ছিল। চার দিন আগে শাহানাজ যখন সজিবের বাসায় ওঠেন, তখন তার স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে টাকা দিতে চাপ দিচ্ছিলেন সজিব। শাহানাজকে বাসায় একা রেখে তালা লাগিয়ে সজিব বাইরে যেতেন। এসব পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকেই সজিবকে ছুরি মেরে হত্যার পর লাশ কেটে পাঁচ টুকরা করেন শাহানাজ।
জানা যায়, গোপীবাগের কে এম দাস লেনের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছিলেন শাহনাজ। তার বাসায় মাঝেমধ্যে আসতেন সজিব। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে কাটাতেন। সজিব পরিবহন শ্রমিক। বেশিরভাগ সময় দুপুরের দিকে শাহনাজের বাসায় আসতেন সজিব।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি শাহনাজের স্বামী ‘তার স্ত্রী হারিয়ে গেছে’ মর্মে রাজধানীর ওয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত বৃহস্পতিবার সজিবকে হত্যার পর শাহনাজ তার আসল স্বামীকে ফোন করে আসতে বলেন। এরপর শাহনাজের স্বামী পুলিশকে সাথে নিয়ে ওই বাসায় আসেন। তখন ঘটনাস্থল থেকে সজীবের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে পুলিশ শাহনাজকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করের্।