এ সপ্তাহে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে নতুন করে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন থেকে তিন বছর আগে এই পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার সেই নীতি থেকে ইউটার্ন নিয়ে নতুন করে পরিষদে যুক্ত হতে চাইছেন বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে বহুজাতিক সংগঠন ও চুক্তিতে ট্রাম্প যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তার আরও একটি গতি পরিবর্তন হবে। বার্তা সংস্থা এপি’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অনলাইন স্টাফ। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র এক কূটনীতিক মার্কিন সময় সোমবার এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। তারা ঘোষণা দিতে পারেন যে, জেনেভাভিত্তিক এই পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে ফিরতে চায়। এরপরই পূর্ণাঙ্গ সদস্য পদ পেতে নির্বাচন করতে চায়।
তবে রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা এবং ইসরাইলপন্থি সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এ উদ্যোগের সমালোচনা উঠতে পারে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নেয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালে এই পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন ট্রাম্প। ইসরাইলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সমালোচনামূলক প্রস্তাব উঠেছে এই পরিষদে। জাতিসংঘে তখন নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির দাবি করা অনেক সংস্কারে ব্যর্থ হয় পরিষদ। ইসরাইলের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন আলোচনা করে। বর্তমানে এই পরিষদের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, রাশিয়া ও ভেনিজুয়েলা। এসব দেশের সবার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। মার্কিন একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন মনে করে, পরিষদকে সংস্কার করা প্রয়োজন। কিন্তু এই পরিবর্তনের জন্য আগে তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে যেসব স্বৈরশাসক আছে এবং তাদের যে অনাচার আছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম।