মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, স্বাভাবিকভাবে তাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকে না, বিশ্বাস থাকে না। মানুষ এখন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সেবা পাচ্ছে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের আস্থা বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। যার প্রতিফলন দেখলাম স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলিতে। মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদ অধিবেশনে একাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা একথা বলেন। সংসদ নেতা বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। ৫ বার সারা বিশ্বে দুর্নীতিতে এক নম্বর।
দুর্নীতির দায়ে এতিমের অর্থ আত্মসাৎতের দায়ে যাদের কারাবরণ করতে হয়। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারির মামলা, গ্রেনেড হামলা করে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিরোধী দলকে হত্যা বা আমাকে হত্যার প্রচেষ্টার মামলা – এসব মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত এরা যখন কোন দলের নেতৃত্বে থাকে সেই দল জনগণের কাজ করবে কিভাবে? তারা যতই বক্তৃতা দিক আর কথাই বলুক-এই ধরনের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা তার ওপর মানুষের আস্থা থাকে না বিশ্বাস থাকে না। তাদের উপর আর সেই বিশ্বাস-আস্থাটা নাই। আস্তে আস্তে সেই জায়গাটা থেকে সরে গেছে। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট নিয়ে কারচুপি করার কোন সুযোগ নাই। যার যার ভোট সে নিজে দিচ্ছে। এখন আর ’১০ হোন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা‘ সে পদ্ধতি নাই। বা ভোট হয়ে গেছে যখন জিতে গেছে ভোট বন্ধ একটা ঘোষণা করে দিল, সেটাও এখন আর নাই।
বিএনপি’র নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে নির্বাচন মানে কি ছিল? সবাই জানে। যাদের গায়ে হাজার কালির ছিটা তারা আবার এতো বড় কথা বলে কোন মুখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলি হচ্ছে ছোট খাটো দুই একটা ঘটনা ছাড়া অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে সুন্দরভাবে জনগণ ভোট দিয়েছে। ভোট দেওয়ার একটা আগ্রহ মানুষের মাঝে সেটা আমরা লক্ষ্য করেছি এবং সেই ভোট মানুষ দিতে পেরেছে, সেজন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ। তারা সঠিকভাবে একটা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে জনগণের মতামতটা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে এত কথা অথচ এরকম একটা কাজ নিজস্ব অর্থায়নে করলাম। সেটার প্রশংসা তো দিতেই পারলো না। উল্টো বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু করা হচ্ছে কেউ উঠবেন না। তাহলে নদীটা পার হবে কিসে মাননীয় স্পিকার। যদি নৌপথে যেতে হয় তাহলে নৌকায় যেতে হবে। উপায় তো নাই। নৌকায় চড়তে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের নৌকা অনেক বড় সবাইকে নেব, তবে দেখে নেব কেউ আবার নৌকায় বসে নৌকা ফুটো না করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক একটা দল বা রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু নীতির ব্যাপার আছে। ১৯৯৮ সালে বন্যা মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পন্ন করে ঘোষণা দিলাম। তখন বিরোধী দলে ছিল বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়া ভাল না, বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। তাদের কাছ থেকে অনেক কথা শুনি, অনেক সমালোচনাও শুনি, অনেক প্রশ্নও তারা করেন। প্রশ্ন করেন, সমালোচনা করেন, জানি না আয়নায় বোধ হয় চেহারাটা ভাল করে দেখেন না। আয়না দেখেন, নিশ্চই মেকাআপের জন্য দেখতে হয়। কিন্তু নিজেদের কাজটাকে দেখেন না। যারা একথা বলতে পারে তাদের মানসিকতা কি? সংসদ নেতা বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। অনেক সমালোচনা অনেক ব্যাঙ্গ শুনেছি। ভ্যাকসিন আসার পরে ভ্যাকসিন নিজেই উত্তরটা দিয়ে দিয়েছে। যারা বলেছে তাদের মুখেই এই থাপ্পড়টা পড়েছে আমার কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, গুজব রটনা করে মিথ্যা কথা বলে অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এটা বিএনপির জন্মগত চরিত্র। এটা তাদের জন্মগত চরিত্র। তাদের কথা তারা বলে যাবে, আমাদের কাজ আমরা করে জনগণের সেবা দিয়ে যাব। বলুক, বলতে তো দিতে হবে। কথা পেটের মধ্যে থাকলে গুড়গুড় করবে, আর বলে গেলে চলে গেল। বাতাসে উড়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *