দু’গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পাথরঘাটা, প্রার্থী, ওসি, সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক

Slider বরিশাল


বরগুনা: বরগুনা জেলার পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ও সংঘর্ষে পাথরঘাটা পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধ-শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ল্যাপটপসহ দোকানের সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বিকাল ৪টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল গণসংযোগে নামলে তাকে কুপিয়ে জখম করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে মুস্তাফিজুর রহমান সোহেলের কর্মী ও সমর্থকরা পাথরঘাটা শহরে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে পাথরঘাটা পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মুস্তাফিজের সমর্থকরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
এতে পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিনসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের ভাই পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ বলেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইতে গণসংযোগে নামলে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এতে আমার ভাই গুরুতর জখম হন। আমার ভাইয়ের ওপর হামলার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা আমাদের ঘরবাড়ি, সিসিটিভি ক্যামেরা, মাইক ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন আকনের সঙ্গে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পাথরঘাটার ওসিসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, পাথরঘাটা পৌর এলাকা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই মুহূর্তে পাথরঘাটার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, এজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন, আমি হামলার কথা শোনার পরে পুলিশকে অবহিত করলেও তারা আমাকে প্রটেকশন না দেয়ায় আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *