চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ বুধবার। প্রধান দুই দলের মেয়রপ্রার্থী আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডা: শাহাদাত হোসেন উভয়েই নিজেদের জয়ের ব্যাপারে জোর আশাবাদী। তবে ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়া নিয়ে ভোটারদের মাঝে রয়েছে আস্থার তীব্র অভাব। ভোটের ব্যাপারে মানুষের উচ্ছ্বাস থাকলেও নানা শঙ্কায় তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে বিভিন্নস্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান এবং অধিকাংশ কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। তা ছাড়া ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ অর্থাৎ ৪২৯টিই ঝুঁকিপূর্ণ (ইসির ভাষায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন’।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটার প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ। তবে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় নগরীর ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে আজ ভোট হচ্ছে না। তবে এই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ভোট নেয়া হবে। জনমনে নানা শঙ্কা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনে মেয়র পদে মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের নৌকা এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে। মেয়রপ্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে মরিয়া। করোনার কারণে প্রায় ১০ মাস পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে শাসকদলের ঘরোয়া সঙ্ঘাতে নিহত হয়েছে দুইজন। কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রচারণায় হামলাসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে গণমামলা ও গণগ্রেফতারের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটের ফলাফল পাল্টানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে বিএনপি বলেছে। এসবের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে নগরজুড়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরির কথা বলা হচ্ছে। তবে নিকট অতীতের বেশ ক’টি নির্বাচনে পরিবেশের অভিজ্ঞতা সুখকর না হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে। বেশ ক’জন ভোটারের সাথে আলাপ করে এমনই মনোভাব পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান নয়া দিগন্তকে জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে নেমেছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হবে।
৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪২৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বিজিবি নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ভোটকেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার লোকবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে দায়িত্ব পালন করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নির্বাচন উপলক্ষে ৪১০টি মোবাইল টিম, ১৪০ স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৭৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ থাকবেন। বিজিবির প্রতি প্লাটুনের সাথে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। র্যাব সদস্যদের সাথেও তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে। এ দিকে চট্টগ্রামের দুই ইপিজেডের সব কারখানা নির্বাচন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এবারের নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী ৭ জন। আর কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২২৫ জন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে এবার ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন।
মাঠ ছেড়ে যাবো না : ডা: শাহাদাত
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন নির্বাচনের আগের দিন গতকাল কর্মব্যস্ত দিন অতিবাহিত করেন। তিনি আজ সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নগরীর বাকলিয়া বিএড কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেবেন।
ডা: শাহাদাত হোসেন সকাল থেকে নিজ বাসায় আসা বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদের নির্বাচনী বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। পরে দুপুরে নেতাকর্মী ও এজেন্টদের গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযোগ দিতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা: শাহাদাত বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক শান্তিপ্রিয় দল। আমাদের আস্থা জনগণের ওপর, আর জনগণের আস্থা ধানের শীষের ওপর, তাই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। তিনি বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণকে ভোটের প্রতি আগ্রহী করে কেন্দ্রে নেয়ার জন্য আমরা গত তিন মাস ধরে মানুষকে সচেতন করেছি। কিন্তু নির্বাচনের আগমহূর্তে বহিরাগত সন্ত্রাসী, মাস্তান ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রশাসনের অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী এবং আমাদের এজেন্টদের গ্রেফতার করে হামলা মামলা অব্যাহত রেখে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করছে। তবে নির্বাচন যেভাবেই হোক আমরা মাঠ ছেড়ে যাবো না।
বিএনপির ৫৬ জন এজেন্ট এবং দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে ডা: শাহাদাত বলেন, নির্বাচনের একদিন আগে ৫৬ জন নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের একটি অংশ, তাই নির্বাচনী এজেন্টদের ছাড়িয়ে আনতে কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে আমাদের আশ^াস দিয়েছেন। আর যদি কমিশন এতে বিফল হয় তাহলে তাদের ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসা উচিত। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক এবং মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। তিনি সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজয়ে আশাবাদী : রেজাউল করিম
এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো: রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকার বিজয়ে শতভাগ আশাবাদ জানিয়ে উন্নয়ন, সেবা ও আন্তরিকতার জবাবে চট্টগ্রামবাসী নৌকায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেন। গতকাল সারাদিন তিনি বহদ্দারহাটস্থ নিজ বাসভবনে আসা সাক্ষাৎপ্রার্থী নেতাকর্মী বেষ্টিত হয়ে সময় কাটিয়েছেন। এ সময় তিনি প্রচার-প্রচারণায় নিরলস পরিশ্রম করার জন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং আজ নৌকায় নিজেদের ভোট দিয়ে পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীদের ভোট কেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান। অবাঞ্ছিত কেউ যাতে গণ্ডগোল পাকাতে না পারে সেদিকে সচেতন থাকতেও নেতাকর্মীদের বলেন তিনি। নির্বাচনী বিধি মেনে কেন্দ্রের অদুরে নেতাকর্মীদের সারাদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান রাখার প্রতিও জোর দেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, তারা (বিএনপি) জনরায়কে ভয় পায়, তাই নানা অজুহাতে নির্বাচন বানচাল করতে চায় এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। প্রচারণাকালে তারা আমাদের পোস্টার ছিড়ে, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে, এমনকি আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে ও আহত করে আমাদেরকে উত্ত্যক্ত করতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল একটি অরাজক পরিস্থিতির উদ্ভব করে নির্বাচন বানচাল করতে। আমাদের নেতাকর্মীরা ধৈর্যধারণ করেছে, শান্ত থেকেছে। তাদের পাতানো ফাঁদে আমাদের নেতাকর্মীরা পা দেননি। এখন উল্টো ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন বানচালের শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আহমদ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো: আতিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার প্রমুখ তার বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন।
ভালো ভোট হবে : ইসি সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো: আলমগীর বলেছেন, প্রস্তুতি শেষ। আমরা আশা করছি সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। এ জন্য যা যা উদ্যোগ নেয়া দরকার, তা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে অনেকগুলো দল অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দেয়া। যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, ভোট দিতে পারেন। কেউ যেন তাদের বাধা না দেয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখা হয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এটাই। সবার জন্য সমান সুযোগ।
রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পেরেছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। একজন কমিশনার বলেছেন সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ, এমন বক্তব্যের জবাবে ইসি সচিব বলেন, উনি কেন বলেছেন, সেটা উনিই ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। চসিক নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, সেটা তো সব সময়ই থাকে। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে আমাদের জানানো হয় কোন কোন কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন তালিকা দেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন তারা সেই অনুযায়ী সেসব কেন্দ্রে বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেন। যেগুলো সাধারণ কেন্দ্র সেখানে ১৬ জন করে দায়িত্ব পালন করবে। যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে ১৮ জন করে থাকবেন এবং সেখানে অস্ত্র বেশি থাকবে।
তবে চসিক নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যত রকম নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, তার সব টুকুই সেখানে নেয়া হয়েছে। যারা ওই এলাকার ভোটার না বা ভোটকেন্দ্রে এসে গণ্ডগোল করতে পারেন, এ ধরনের কাজ যাতে না করতে পারে এ জন্য শহরে প্রবেশের যে পথগুলো আছে সেখানে পুলিশি পাহারা থাকবে। করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের নির্দেশনা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধিতে যা মেনে চলা দরকার সব মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া আছে। ভোটার যখন লাইনে দাঁড়াবেন তখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াবেন। ইভিএমে ভোট দেয়া হবে, তাই ভোট দেয়ার আগে এবং পরে হ্যান্ডওয়াশ করে নেবেন। আর সবাইকে মাস্ক পরে কেন্দ্রে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ গেলে তাকে ভোট দিতে দেয়া হবে না বা দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হবে না।
মোটরবাইকে নিষেধাজ্ঞা
এ দিকে বুধভার ভোটের দিন ও বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত নগরীতে মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে আজ মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তা ছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত দেশী-বিদেশী সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনে বৈধ পরিদর্শক এবং কিছু জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এতদ্ব্যতীত জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।