নেতাদের তিনি বারবার বলেছেন, সিনিয়র নেতারা গ্রেপ্তার হলে তুলনামূলক তরুণ নেতারা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। তারা গ্রেপ্তার হলে কর্মীরা রয়েছে। এমনকি তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও যেন নেতাকর্মীরা হতাশ বা হতোদ্যম না হয়। খালেদা জিয়ার এমন নির্দেশনা ও মনোভাবের পর নেতাদের গ্রেপ্তারে হতোদ্যম নয় কর্মীরাও। নেতারাও অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সক্রিয়। কৌশলী ভূমিকায় তারা নিজেদের সক্রিয় রেখেছেন। বিএনপি নেতারা জানান, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময়ও কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রাখেন। এবারও কর্মীদের ওপরই ভরসা রাখছেন খালেদা জিয়া। নেতারা জানান, রাজনৈতিক কৌশল-পাল্টা কৌশলের সীমা পেরিয়ে একের পর এক নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে সরকার।
কখনও চাপ প্রয়োগ করে, কখনও ভয় দেখিয়ে আবার কখনও ভীতিকর প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে। কিন্তু দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় রাজনীতি করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ফলে সরকার চাপ প্রয়োগ বা ভয় দেখিয়ে তাকে টলাতে পারবে না। এটা তার রাজনৈতিক ইতিহাসই সাক্ষ্য দেয়। তিনি এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আপসহীন ভূমিকা রেখেছিলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় পরিবারের সদস্যদের ওপর চূড়ান্ত নির্যাতনের মুখে তিনি অনড় অবস্থানের পরিবর্তন করেননি। প্রতিবার তার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র ফিরেছে। এবারও ব্যর্থ হওয়ার কোন কারণ নেই।
বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে আন্দোলন চলছে। সরকারকে সময় দেয়া হয়েছে, সংলাপ-সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সরকার কর্ণপাত করেনি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের আন্দোলনও শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এজেন্ট দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নদিকে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ অব্যাহতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণকে এত বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। বিদেশীরাও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল।