বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘনিষ্ঠতা। তারপর কৌশলে ধর্ষণ। এভাবেই তরুণীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করছিলেন নাছির উদ্দিন মুন্সি (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। একপর্যাযে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান ওই তরুণী। তারপরই প্রকাশ পায় নাছির উদ্দিন মুন্সির ভয়ঙ্কর রূপ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় কৈবর্তখালী গ্রামে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রোববার অভিযানে নামে পুলিশ।
জানা গেছে, ধর্ষণের ফলে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন নাছির।
ততদিনের সময় গড়িয়েছে অনেক। একপর্যায়ে ওই তরুণী একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। তখনও নাছির তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ৩০শে ডিসেম্বর কৌশলে শিশুটিকে অপহরণ করেন। তরুণী যাতে কোনো অভিযো করতে না পারেন সেজন্যই শিশুটিকে অপহরণ করেন নাছির উদ্দিন মুন্সী।
গত ১৩ই জানুয়ারি চারজনের নাম উল্লেখ করে মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী। মামলা দায়েরের পর রোববার সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার মালুহার এলাকা থেকে দুই মাস বয়সী ওই শিশুকে উদ্ধার ও ফাতিমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফাতিমা বেগম নলছিটি উপজেলার রানাপাশা এলাকার মৃত সাহেদ আলী হাওলাদারের মেয়ে।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ফাতিমার কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে আদালতের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই মামলার আসামি নাছির উদ্দিন মুন্সীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। আসামি নাছির উদ্দিন মুন্সী রাজাপুর উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত আবদুল জব্বার মুন্সির ছেলে।