মহামারির কারণে পিছিয়ে যাওয়া চলতি বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা ভার্চ্যুয়ালি নয়, সরাসরিই হবে। তবে মেলা শুরুর তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ অথবা ১৭ই মার্চ থেকে গ্রন্থমেলা শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছেন। রোববার বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বইমেলা সরাসরি হবে, ভার্চ্যুয়াল বইমেলা নয়। তবে সময়টা আমরা এখনো নির্ধারণ করতে পারিনি। কে এম খালিদ বলেন, পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা শুরু করার ভাবনা তাদের ছিল, কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় তা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি ওপেন প্রস্তাব পাঠাবো; ২০শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ, ১৭ই মার্চ থেকে বইমেলা শুরু করা যায় কিনা। কেননা, ১২ই এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হয়ে যাবে। রোজার আগেই আমরা বইমেলা শেষ করতে চাই।
২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা শুরু করা সম্ভব কিনা- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণে এলে বা ভ্যাকসিন চলে এলে ওই সময়ে বইমেলা শুরু করা সম্ভব। যদিও একটু কঠিন হবে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে না এলে মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তাও রয়েছে। এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছি আমরা। তবে কোভিড খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা আশাবাদী, শিগগিরই এটা আরো নিয়ন্ত্রণে আসবে। তখন আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা আয়োজনের চেষ্টা করবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকাশকরা মার্চের মধ্যেই বইমেলা সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন, তা না হলে বৈরী আবহাওয়া এবং রোজা শুরু হয়ে যাওয়ার বিষয় থাকে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, সম্ভাব্য তিনটি তারিখের সঙ্গে আমরা একমত। এখন ২০শে ফেব্রুয়ারি শুরু করা যায় কিনা, সেটা নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার বা সম্মতির উপরে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা এর আগেও কয়েক দফা মিটিং করে বলেছি, যেহেতু এবার বিশেষ পরিস্থিতি, প্রয়োজনে বইমেলা মার্চ পর্যন্ত যেতে পারে। তবে মার্চের মধ্যেই বইমেলা শেষ করতে হবে এবং বইমেলা হতে হবে ফিজিক্যাল বইমেলা। আমরা আজকেও বৈঠকে বলেছি, বইমেলা ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে শুরু করে মার্চের মধ্যে শেষ করতে। কেননা, এপ্রিলে ঝড়-বৃষ্টির আবহাওয়া বইমেলার অনুকূলে থাকবে না। তাছাড়া, এপ্রিলে রোজা শুরু হবে। তাই মার্চেই বইমেলার আয়োজন করতে হবে।