পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে’ দাবি করে ৮টি প্রশ্ন দয়ার

Slider বাংলার মুখোমুখি

ঢাকা: অহরহ পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে দাবি করে সমালোচকদের কাছে ৮টি প্রশ্ন রেখেছেন পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সাংবাদিক ও কণ্ঠশিল্পী নজরুল ইসলাম দয়া।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে সংগঠনের ফেসবুক গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাসে প্রশ্নগুলো করেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

পুরুষ নির্যাতন কি হচ্ছে না?
আপাতত ৮টি প্রশ্নের মুখোমুখি আসুন।

গালি দেন বা কারণ ছাড়াই আমাকে তুইতোকারি করেন, আমি মেনে নেব। কিন্তু দেশে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে না- এই কথাটি মেনে নেব না।

পুরুষের অধিকার নিয়ে যখন রাজপথে গর্জন দিয়ে বলি, ‘পুরুষদের জন্য আইন চাই। নারী আইনের সংশোধন চাই। এ দেশে নারীদের নিরাপত্তায় আইন আছে, মন্ত্রণালয় আছে। দেশে পুরুষের অধিকার চাই, আইন চাই, মন্ত্রণালয় চাই।’

পরিচিত বা অপরিচিত অনেকেই প্রকাশ্যে বা অনলাইনে আমাদের আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। বিভিন্নভাবে ব্যঙ্গ করেন। আমাদের নাকি লজ্জা নেই। গোটা পুরুষ জাতিকে নাকি লজ্জায় ফেলেছি! নারী আইনের পক্ষে যেসব পুরুষ রাজপথে ছুটে যান, তাঁদের কি লজ্জা আছে? গোটা পুরুষ জাতি কি ধর্ষক? প্রতিটি অপরাধের বিচার আমরাও চাই।

প্রশ্নের উত্তর দিন-
(১) সংসারে কলহকারণে স্ত্রীকে আইনীভাবে ডিভোর্স বা নোটিশ দেওয়া মাত্রই স্বামীর বিরুদ্ধে প্রথমে যৌতুক মামলা করা হয়। পিতার বাড়িতে থেকে হাসপাতালে একদিন ভর্তি হয়েই নারী নির্যাতন মামলা করে। স্বামী জেল হাজতে।
– এখানে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে কিনা? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা?

(২) অধিকাংশ নারী নির্যাতন বা যৌতুক মামলায় একাধিক আসামি করা হয়! ছেলের ভাই, পিতা এবং একাধিক নারীও আসামি লক্ষ্য করা যায়! কখনো কখনো বলা হয়, নারীর পরিবার যৌতুক দিয়েছে!
– এখানে ওই নারীর পরিবার অপরাধী কিনা? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা? পুরুষ নির্যাতন হয়েছে কিনা?

(৩) পরকীয়া প্রেম করে একদিন ধরা খেয়ে বলা হলো ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা। মামলা দায়ের এবং জেলে গেল পুরুষ।
– এখানে পুরুষের সাথে ওই নারী অপরাধী কিনা? এই ঘটনায় পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে কিনা? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা?

(৪) ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে কথা-কাটাকাটির ঘটনা হয়ে গেল ‘ধর্ষণ চেষ্টা বা শ্লীলতাহানির’ মামলা। একাধিক পুরুষ আসামি, পরে জেলা হাজতে।
– এখানে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে কিনা? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা?

(৫) প্রবাসীর টাকা মেরে পরকীয়া আসক্ত হয়ে স্ত্রী চলে গেল। অথবা প্রবাসীর টাকা মেরে পিতার বাড়িতে সম্পদ করে স্ত্রী প্রতারণা করল! প্রবাসী পুরুষ বিচার চাইতে গেলে নারী নির্যাতন মামলার আসামি হচ্ছে!
– এখানে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে কিনা? পরকীয়া বন্ধে আইন প্রয়োজন কিনা? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা?

(৬) কিশোর-কিশোরী বা যুবক-যুবতী প্রেম করে পালিয়ে গেল! ধর্মীয় এবং আদালতের নিয়মে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করল! কন্যার পরিবার অপহরণ মামলা দিল! পরে একই মামলায় ধর্ষণ দেখানো হলো! ছেলে জেল হাজতে আর কন্যা অন্যত্রে বিয়ে করে সংসার করছে!
– এখানে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে কিনা? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা?

(৭) একজন পুরুষের কাঁধে পুরো সংসার। কর্মস্থলে পরিশ্রম করে বাড়িতে গেলে নানাভাবে মানসিক টর্চারের মুখে পড়তে হয়! নতুন শাড়ী, বান্ধবীর বাড়ি বা বিভিন্ন বাহানায় কলহ শুরু করে। স্বামীকে সন্দেহ করে সংসার ফেলে পিতার বাড়িতে যাচ্ছে! নারী নির্যাতন মামলা করে সংসার নষ্ট করছে!
– এখানে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে কিনা? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা?

(৮) কিশোর কিশোরীর প্রেম বা বন্ধুত্ব। কন্যার পরিবার বিষয়টি টের পেলে কিশোরী চাপের মুখে! পরে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয়ে বলা হলো ‘ইভটিজিং’। মামলা বা ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা পেল পুরুষ।
– এখানে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে কিনা? শুধু পুরুষেরা ইভটিজিং করে- নারীরা ইভটিজিং করে না? নারী আইনের অপব্যবহার হয়েছে কিনা?
____________________

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *