সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে ফুলকপির মূল্য কম থাকায় ট্রাকভাড়া না দিয়েই চার হাজার ফুলকপি রেখে ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেছেন।
এদিকে জানা যায়, “ঢাকায় আড়তে ফুলকপি বিক্রির জন্য ১৭ হাজার টাকায় একটি ট্রাক ভাড়া করেন এবং তারা (ঠাকুরগাঁও এলাকার দুই ব্যবসায়ী) চার হাজার ফুলকপি কিনেছিলেন। ট্রাকটি রবিবার রাতে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজায় পৌঁছালে সেখানে ওজন স্টেশনে চার ঘণ্টা সময় লেগে যায় এবং এরপরে ট্রাকটি দুপুর ১২ টায় টাঙ্গাইল পৌঁছে বলে জানা যায়। কিন্তু ঢাকায় আড়তে সকাল ৭ টা পর্যন্ত মালামাল বেচাকেনা হয়। টাঙ্গাইল এলাকাতেই দুপুর হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ফুলকপি বিক্রির জন্য ট্রাকটি নিয়ে টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে যান এবং সেখানে কপির মূল্য কম থাকায় ব্যবসায়ীরা ট্রাকবোঝাই কপি রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর উপায়ন্তর না পেয়ে ট্রাকচালক ও ট্রাকটির মালিক কপিগুলো নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল হাটে ওঠান এবং সেখানে তারা ট্রাকের তেল খরচ উঠাতে ২০ টাকায় পাঁচটি কপি বিক্রি শুরু করেন। এতে সন্ধ্যা অবধি পর্যন্ত তারা অল্প কিছু কপি বিক্রি করতে পেরেছিলেন।”
ট্রাকচালক তোফাজ্জল হোসেন ও ট্রাকের মালিক আজহার আলী টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা এবং ফুলকপি ব্যবসায়ীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রাকচালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “ঠাকুরগাঁওয়ের দুইজন ব্যবসায়ী চার হাজার ফুলকপি কিনে সেগুলো ঢাকায় নিতে আমাদের ট্রাকটি ১৭ হাজার টাকায় ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু ট্রাকটি বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজার স্কেলে চার ঘণ্টা আটকে যাওয়ায় টাঙ্গাইল পৌঁছাতেই দুপুর হয়ে যায়।”
ট্রাকের মালিক আজহার আলী বলেন, “ব্যবসায়ীরা ভাড়া না দিয়েই পালানোর পর কপিগুলো বাসাইল হাটে উঠানো হয় এবং মাত্র পাঁচটি কপি ২০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এ পর্যন্ত অর্ধেক কপিও বিক্রি করতে পারিনি এবং ট্রাকের তেল খরচও উঠবে কিনা সেটাও জানি না।”
বাসাইল হাটে সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, “মূল্য থাকায় ব্যবসায়ীরা কেজিতে বিক্রি না করে চার/পাঁচটি ফুলকপি ২০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। গত দুই দিন আগেও টাঙ্গাইলে কপির দাম ছিল চড়া কিন্তু আবার হঠাৎ করেই কপির দাম কমে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।”