টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. বাহার উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ উঠেছে।
আজকে মঙ্গলবার (৫ ই জানুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে এর সত্যতাও মিলেছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত স্থানীয় লোকজন কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
১১ টা নাগাদ অফিস বন্ধ এমন তথ্য পেয়ে হাজির দুই সাংবাদিক। উপস্থিতির খবর পেয়ে বেলা ১১ টা বেজে ১০ মিনিটের সময় অফিস খুলেন ওই দপ্তরে কর্মরত নলকূপ মেকানিক সাঈদা আক্তার।
অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউই অফিসে না থাকলে প্রশ্নোত্তরে বলেন, সবাই ফিল্ডে আছেন। আধ ঘন্টা পর হাজির উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. বাহার উদ্দিন। ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর থাকলেও পরের দিনগুলো অনুপস্থিতির কোনো স্বদত্তর দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
এদিকে জানা গেছে, এই অফিসে মোট ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে সবনম আক্তার, শওকত হোসেন, মিনহাজ উদ্দিন তিন কর্মচারী ডেপুটেশনে রয়েছেন।
অন্যান্য কর্মকর্তাদের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তারা সবাই কাজে আছেন। কিন্তু কর্মস্থলে ফোন দেওয়া হলে তিন কর্মচারী অনুপস্থিত বলেও জানা যায়।
খুরম নামের এক কর্মচারী অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়েছেন তবে তিনি আবেদন দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আবেদন দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
আর এদিকে ক্যামেরার সামনে আসতে অনিচ্ছুক সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তি জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত একটি নলকূপের জন্য আবেদন করেছি। আমার নামও লিস্টে আছে। তবে জনস্বাস্থ্য অফিসে গেলে তারা বলেন, কালকে আসেন পরশু আসেন বলে হয়রানি করতে থাকেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন লোকজনদের ফোন করেন এবং কথা বলে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. বাহার উদ্দিন।
আর এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।