সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিবস পালন করবে বিএনপি। একই দিনে ‘একতরফা ভোটারবিহীন’ নির্বাচনের স্মরণে বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপি বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জনের পরেও জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কলংকিত অধ্যায়কে ঘৃণার সঙ্গে স্মরণ করার জন্য সারা দেশে বিএনপি কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করবে। ওই নির্বাচনের প্রতিবাদে এদিন দলের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবে বলেন রিজভী।
আদালতের এক আদেশের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে পক্ষপাতী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপিসহ বেশিরভাগ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, আওয়ামী লীগ ও এর রাজনৈতিক জোট নির্বাচনে অংশ নেয় এবং ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি আরও কয়েকটি দল মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। সেখানেও তাদের ব্যাপক ভরাডুবি হয়।
জাতীয় ঐফ্রন্টের নেতারা ভোট ‘কারচুপি’ এবং ‘রাতের আধাঁরে ভোটচুরির’ অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। তবে তাদের আটজন নির্বাচিতি প্রতিনিধি একাদশ জাতীয় সংসদে সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তারা দিনটিকে ‘কলঙ্কিত কালো দিবস’ হিসাবে পালন করেছে।
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘৫ জানুয়ারি ২০১৪ গণতন্ত্র হত্যার এক নজিরবিহীন কালো অধ্যায়। ওইদিন নির্লজ্জ একতরফা নির্বাচন করার উদ্দেশ্যই ছিল ৭৫ এর একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করার পথে অগ্রসর হওয়া। ওই নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, গণতন্ত্র এবং নাগরিকদের স্বাধীনতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী ছিল। মানুষ এখন গণতন্ত্রকে ‘পুনরুদ্ধার’ করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এবং তারা যে কোনো সময় তারা রাস্তায় গণ-জোয়ার তৈরি করবে। সূত্র: ইউএনবি