প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা। তার কারণ, স্কুল ছাড়া সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকা, এটা যে কত কষ্টকর, এটা সত্যিই খুব দুঃখের। তিনি বলেন, আমরা এখন ১৫ই জানুারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এর মধ্যে যদি অবস্থা ভালো হয়, খোলা হবে আর যদি না হয়, খুলব না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শের-ই বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মিলনায়তনে বই বিতরণ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকাকলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে এখন ঘরে বসে অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা একেবারে শিক্ষা থেকে দূরে যাচ্ছে না, কিছুটা হলেও শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
এই মহামারী থেকে কবে মুক্তি মিলবে, পুরো বিশ্ব সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন একটু সিদ্ধান্ত নিলাম যে স্কুল খুলব, তখন আবার নতুন করে দ্বিতীয় ধাক্কা এলো করোনা ভাইরাসের। কাজেই আমরা ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করেই…।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নত, দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই। তাই শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ২০১০ সাল থেকে আমরা বিনামূলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।
বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পেলে যে আনন্দ হয়, তা থেকে শিক্ষার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেজন্য আমরা বছরের প্রথম দিন থেকেই তাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩৪ কোটিরও বেশি বই বিতরণ করা হচ্ছে। বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতেও আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছি যাতে তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় বই প্রকাশ করে বিতরণ করছি বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও নির্দিষ্ট সময়ে বই প্রকাশ করে বিতরণ করতে পারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পরে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হয়।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবছর সব শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে বই বিতরণ করা হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন দিন করে মোট ১২দিনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ১লা জানুয়ারি সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ শুরু হবে।