নয়ন এনকে, প্যারিস: ফ্রান্সের গভর্নমেন্ট চোখ বন্ধ করে আছে, অনিয়মিতদের দেখেও দেখছে না তাদের মধ্যে অনেকেই কাজ করে তারা ইনকাম ট্যাক্স পে করে যাচ্ছে এবং অনেকের ছেলে এবং মেয়ে পড়াশোনা করছে কিন্তু তার পরেও গভর্মেন্টের কাছে তারা অদৃশ্য।
কিন্তু এক ঝাঁক যোদ্ধা কাগজহীন অভিবাসীদের পশে সব সময় আছে তাদের কাগজের ব্যবস্থা করার দাবিতে সারা ফ্রান্সে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে যোদ্ধারা। কিন্তু করা এই সকল যোদ্ধা ? কেন লড়াই করে যাচ্ছে কাগজহীন অভিবাসীদের জন্য ?
যোদ্ধারা সারা দিন কাজ করে তারা মাঠে নেমে যাই অনিয়মিতদের জন্য, তাদের কাছে মানবতাই সব চেয়ে বড় ধর্ম। “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই”। যোদ্ধারা তাদের পরিবারের সাথে তাদের ফ্রি সময়টা নাকাটিয়ে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে অনিয়মিতদের নিয়মিত করার জন্য।
সমগ্র বিশ্বে ফ্রান্সকে মানবতার দেশ হিসেবে জানে যে কথা ঠিক বটে কিন্তু অনিয়মিতদের ক্ষেত্রে ফ্রান্সের গভর্নমেন্ট মানবতা এখনো দেখায়নি কিন্তু যোদ্ধারা সেটি দেখাচ্ছে।
এর কারণ এই মহামারি সময়ে ফ্রান্সে কাগজহীন অভিবাসীদের কাগজের ব্যবস্থা করার দাবিতে সারা ফ্রান্সে আন্দোলন চালাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২০২০ সালে গত ৩০ মে এবং ২০ জুন এবং আর ১ মাস ধরে ফ্রান্সের সব জায়গায় হাটতে হাটতে আন্দোলনকারীরা ১৭ অক্টোবর শনিবার প্যারিসের Elysée প্রাসাদের সামনে এসে একটি বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
এবং ১৮ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব অভিবাসী দিবস’ এই চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনরত সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গ একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সমাবেশে তিন শতাধিক সংগঠনের ও বেশি অংশ নিয়েছিল। ফ্রান্সের বড় বড় শহরেও ১৮ ডিসেম্বর আন্দোলন হয়েছে।
এই যোদ্ধাদের ডাকে সব সময় জনগণ দলে দলে যোগদিয়েছে সব আন্দোলনে আর এই যোদ্ধারা যতদিন অনিয়মিতদের কাগজ না দিবে, যতদিন অনিয়মিতদের ন্যায্য অধিকার না দিবে তত দিন থামবেনা যোদ্ধারা।
“কাগজহীন অভিবাসীরাও মানুষ তারাও সকল ন্যায় অধিকার পাওয়ার অধিকারী, তাদের অধিকারও সরকারকে রক্ষা করতে হবে। আপনাদের পাশে ছিলাম এর পরেও আপনাদের পাশে থাকবো”- নয়ন এনকে