পর পর দু’দিনে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা। মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে গতকালসহ মোট চার দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। জেলায় এর আগে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর তারিখে ও গত সোমবার ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এক দিনের ব্যবধানে দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
এদিকে, হাড় কাঁপানো তীব্র শীতের সাথে কনকনে বাতাসে অনকটা বিপর্যস্ত নেমে এসেছে চুয়াডাঙ্গার ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবনে। দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকলেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। ফলে শীতের তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে। খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলোকে সকালে কাজে বের হতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে বৃদ্ধ আর শিশুরা। শীত নিবারনের জন্য তারা ছুটছে কম দামের কাপড়ের দোকানে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা তেমন না বাড়লেও শীত মোকাবিলায় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিভাগ সকল প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। চলতি মৌসুমে ধীরে ধীরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমরা সদর হাসপাতালসহ সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।